দেশে সাইবার অপরাধ ও ডিজিটাল প্রতারণার ঘটনা বেড়ে যাওয়ায় একজন গ্রাহকের সিম ব্যবহারের সর্বোচ্চ সীমা ১৫ থেকে কমিয়ে ১০-এ আনছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)।
সংস্থাটির এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বিষয়টি নিশ্চিত করে জানিয়েছেন, খুব শিগগির এ বিষয়ে সংবাদ সম্মেলন করে বিস্তারিত জানানো হবে।
বিটিআরসি সূত্র জানায়, প্রযুক্তির অগ্রগতির সঙ্গে পাল্লা দিয়ে হোয়াটসঅ্যাপ, ইমো, টেলিগ্রাম, ফেসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করে সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্র বিকাশ ও নগদ জালিয়াতিসহ নানা অপরাধে জড়াচ্ছে। এদের অনেকেই বাড়তি অর্থের বিনিময়ে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে সিম সংগ্রহ করে অপরাধে ব্যবহার করছে।
এই পরিস্থিতিকে বিবেচনায় নিয়ে একজন গ্রাহক সর্বোচ্চ ১০টি সিম সংগ্রহ করতে পারবেন বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
একজন বিটিআরসি কর্মকর্তা বলেন, "একজন গ্রাহকের নামে এক ডজন অব্যবহৃত সিম টেলিকম খাতের জন্য যেমন বোঝা, তেমনি এটি সম্পদের অপচয়। একজন ভালো মানুষের এত বেশি সিমের প্রয়োজন পড়ে না। এই সিদ্ধান্তে গ্রাহক কিংবা টেলিকম খাতের কোনো ক্ষতি হবে না।”
তিনি আরও বলেন, "অব্যবহৃত সিমের মাধ্যমে অপরাধের ঝুঁকি বাড়ছে। তাই এ ধরনের ব্যবস্থার মাধ্যমে অপকর্ম প্রতিরোধের পাশাপাশি সিম ব্যবস্থাপনায় শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা সম্ভব হবে।”
উল্লেখ্য, সাইবার অপরাধ ও অপরাধীদের গতিবিধি নিয়ন্ত্রণে ২০১৫ সালে বিটিআরসি জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) ভিত্তিক সিম নিবন্ধন চালু করে। এরপর ২০১৭ সালে সিম ব্যবহারের সর্বোচ্চ সীমা নির্ধারণ করা হয় ১৫টি।
নতুন এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হলে তা হবে সিম ব্যবস্থাপনায় দ্বিতীয় বড় ধরনের পরিবর্তন।