২০২৫ সালের জুনে ইউরোপজুড়ে ভয়াবহ তাপপ্রবাহে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। ইতালি, স্পেন, পর্তুগাল, ফ্রান্স ও জার্মানিসহ বিভিন্ন দেশে তাপমাত্রা অতীতের সকল রেকর্ড ভেঙে গেছে। স্পেনের হুয়েলভা ও পর্তুগালের মোরা শহরে ৪৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে। ফ্রান্সে গড় তাপমাত্রা বেড়েছে ৩.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
তীব্র গরমে ইতালির সিসিলিতে রাস্তায় হাঁটতে গিয়ে এক নারী মারা গেছেন, কাতালোনিয়ায় হিটস্ট্রোকে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে এবং আরও অন্তত তিনজনের মৃত্যু হয়েছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। ইতালির বিভিন্ন অঞ্চলে খোলা আকাশের নিচে কাজ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। নির্মাণ সাইটে কাজ করার সময় একজন শ্রমিক মারা গেছেন, দুজন গুরুতর অসুস্থ হয়েছেন।
ফ্রান্সে ঝড় ও তাপপ্রবাহের কারণে রেল যোগাযোগ বিঘ্নিত হয়েছে এবং স্কুলগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। প্যারিসে আইফেল টাওয়ারের শীর্ষে যাতায়াত বন্ধ রাখা হয়েছে। জার্মানিতে 'বেটিনা' নামের উষ্ণ আবহাওয়ার প্রভাবে দেশজুড়ে তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি ছাড়িয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
তুরস্কে ২৬৩টি দাবানলের খবর পাওয়া গেছে। স্পেন, ফ্রান্স ও ইতালির বিভিন্ন অংশে দমকল বাহিনী দাবানল নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে।
ইউরোপের বিভিন্ন শহরে অভিভাবকদের সন্তানদের স্কুলে না পাঠাতে বলা হয়েছে, কারণ শ্রেণিকক্ষে অতিরিক্ত গরমে শিক্ষার্থীদের ঝুঁকিতে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।
গবেষণা বলছে, এই তীব্র গরম জলবায়ু পরিবর্তনের সরাসরি ফল এবং ভবিষ্যতে এ ধরনের চরম আবহাওয়ার ঘটনা আরও ঘন ঘন ও দীর্ঘস্থায়ী হতে পারে। শিল্প ও স্বাস্থ্য খাতের বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ইউরোপের অবকাঠামো এখনো এ ধরনের তাপপ্রবাহ মোকাবেলায় প্রস্তুত নয়।