ঢাকার বায়ুদূষণ রোধে কেন প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি—তা জানতে চেয়ে সংশ্লিষ্টদের প্রতি রুল জারি করেছে হাইকোর্ট।
রোববার (২৭ এপ্রিল) এ সংক্রান্ত এক রিটের শুনানি শেষে বিচারপতি কাজী জিনাত হক ও বিচারপতি আইনুন নাহার সিদ্দিকার সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের একটি ডিভিশন বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন রিটকারী সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. মনির উদ্দিন।
রুলে আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাদের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
এর আগে, ঢাকার বায়ুদূষণ রোধে উদ্যোগ নিতে পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের কাছে চিঠি দেন আইনজীবী মো. মনির উদ্দিন। চিঠিতে তিনি উল্লেখ করেন, ২০২৩ সালের ১৪ ডিসেম্বরের তথ্য অনুযায়ী, গত নয় বছরের মধ্যে ওই দিন ঢাকার বাতাসের মান ছিল সবচেয়ে খারাপ। ওইদিন বায়ুমান সূচক (AQI) ছিল ২৮৮, যা "খুব অস্বাস্থ্যকর" পর্যায়ে পড়ে।
চিঠিতে বলা হয়, বায়ুমান সূচক ২০১ থেকে ৩০০ হলে তা জনস্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। আর সূচক ৩০১ এর বেশি হলে তা দুর্যোগপূর্ণ বলে বিবেচিত হয়।
২০১৯ সালের মার্চে প্রকাশিত পরিবেশ অধিদপ্তর ও বিশ্বব্যাংকের এক যৌথ প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, ঢাকার বায়ুদূষণের প্রধান তিনটি উৎস হলো—ইটভাটা, যানবাহনের ধোঁয়া এবং নির্মাণ সাইটের ধুলো।
রিটে আরও বলা হয়, চলতি বছরের ১৯ ফেব্রুয়ারি, সারা বিশ্বের ১২৪টি দূষিত নগরীর মধ্যে ঢাকার অবস্থান ছিল দূষণের দিক থেকে প্রথম। সেদিন ঢাকার বাতাসের বায়ুমান সূচক ছিল ২৫০, যা জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ।
চিঠিতে সতর্ক করে বলা হয়, অবিলম্বে পরিবেশবান্ধব ব্যবস্থা না নেওয়া হলে, দ্রুত সময়ের মধ্যে ঢাকা পরিত্যক্ত নগরীতে পরিণত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
প্রসঙ্গত, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা না নেওয়ায় হাইকোর্টে রিট আবেদন করেন আইনজীবী মো. মনির উদ্দিন। হাইকোর্টের জারি করা রুলের আলোকে আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে সংশ্লিষ্টদের যথাযথ জবাব দিতে হবে।
সূত্র:বিডি প্রতিদিন