আজ রোববার, ২৫ মে, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১২৬তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান শনিবার (২৪ মে) রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে একটি শ্রদ্ধাঞ্জলি বার্তা প্রকাশ করেছেন।
পোস্টটিতে তিনি নজরুলের সাহসী সাহিত্যচর্চা, সাম্য ও মানবতার পক্ষে তার অবিচল অবস্থান এবং ঔপনিবেশিক শাসনের বিরুদ্ধে সংগ্রামী ভূমিকাকে স্মরণ করেন।
তারেক রহমান লেখেন, “২৫ মে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১২৬তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে তার বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করি এবং তার প্রতি জানাই গভীর শ্রদ্ধা।”
তিনি নজরুলকে বাংলা ভাষার অন্যতম প্রধান কবি, লেখক, সাংবাদিক, চলচ্চিত্রকার, গীতিকার ও সঙ্গীতজ্ঞ হিসেবে অভিহিত করে বলেন, “স্বাধীনচেতা এই মানুষটি সাম্য, ন্যায়বিচার ও মানবতার পক্ষে এবং সাম্রাজ্যবাদ ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে এক আপসহীন সংগ্রামী পুরুষ ছিলেন। জুলুম ও অবিচারের বিরুদ্ধে তার লেখনী ছিল সাহসী ও ক্ষুরধার।”
ঔপনিবেশিক শাসকদের নির্যাতনের মাঝেও নজরুলকে সত্য উচ্চারণ থেকে বিরত করা যায়নি উল্লেখ করে তারেক বলেন, “রাজরোষে পড়েও সত্য ও সুন্দর সৃষ্টির মনোবাঞ্ছা থেকে তিনি কখনোই পিছপা হননি। তার সাহিত্যের প্রাচুর্য তুলনাহীন। সাহিত্যের নানা শাখায় বিচরণ করলেও তার প্রধান পরিচয় তিনি একজন কবি।”
নজরুলের লেখনী স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে ছিল অপ্রতিরোধ্য উল্লেখ করে তিনি বলেন, “তার লেখনী সকল স্বৈরাচারের জন্য আতঙ্ক হয়ে থাকবে। তিনি লিখেছেন ‘কৈরে কৈরে স্বৈরাচারী বৈরী এই বাংলার’?”
তারেক রহমান আরও বলেন, “তার কবিতা ও গানে মানবতা ও সাম্যের বাণী উচ্চারিত হয়েছে। তার লেখনী আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রাম ও যুদ্ধে ব্যাপক অনুপ্রেরণা যুগিয়েছিল। তিনিই উপমহাদেশের স্বাধীনতার প্রথম বলিষ্ঠ কণ্ঠস্বর।”
নজরুলের সঙ্গীতসৃষ্টি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “তার প্রকৃতি, মানবপ্রেম ও ভক্তিমূলক গান অনন্য বৈচিত্র্যময় সুর ও বাণীর সংমিশ্রণে এক অনবদ্য স্বপ্নিল পরিবেশ সৃষ্টি করে, যে গানের আবেদন চিরকালীন ও অবিনশ্বর।”
পোস্টের শেষাংশে তারেক রহমান বলেন, “তার সৃষ্টিকর্ম আমাদেরকে চিরদিন স্বদেশ প্রেমে অনুপ্রাণিত করবে বলে আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি। আমি জাতীয় কবির জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে সকল কর্মসূচির সর্বাত্মক সাফল্য কামনা করছি। আল্লাহ হাফেজ, বাংলাদেশ জিন্দাবাদ।”