ঢাকা রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল (ডিইপিজেড)-এ হঠাৎ বিদ্যুৎ সরবরাহে ঘাটতির কারণে উৎপাদন কার্যক্রমে বড় ধরনের ব্যাঘাত ঘটেছে। গ্যাস সংকটে ইউনাইটেড পাওয়ার জেনারেশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে না পারায় ডিইপিজেডের কারখানাগুলোর একটি বড় অংশ বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়ে।
ডিইপিজেড কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, সোমবার রাত থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহের দায়িত্ব নেয় পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১। মঙ্গলবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত পল্লী বিদ্যুৎ থেকে ডিইপিজেডে সরবরাহ করা হচ্ছে ২৫ থেকে ২৬ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ, যা ৪৫ মেগাওয়াট মোট চাহিদার তুলনায় অনেক কম। তবে দ্রুত আরও ১০ মেগাওয়াট সংযোজনের আশা প্রকাশ করেছেন কর্তৃপক্ষ।
ডিইপিজেডের নির্বাহী পরিচালক মো. শরিফুল ইসলাম বলেন, “গতকাল হঠাৎ করে কোনো পূর্ব নোটিশ ছাড়াই ইউনাইটেড পাওয়ারের গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। ফলে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে পড়ে।” তিনি জানান, “বর্তমানে ডিইপিজেডের প্রায় ৭০ শতাংশ কারখানা সচল রয়েছে, এবং বাকি ৩০ শতাংশ কারখানাও খুব দ্রুত চালু হবে বলে আশা করছি।”
এদিকে সংকটের প্রেক্ষিতে মঙ্গলবার সকালে ডিইপিজেডের অন্তত ৫টি প্রতিষ্ঠান তাদের কারখানায় ছুটি ঘোষণা করেছে। বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক না হওয়ায় উৎপাদন কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে এবং রপ্তানিমুখী শিল্প খাতে ক্ষতির আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।
পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর সিনিয়র জেনারেল ম্যানেজার মো. আক্তারুজ্জামান লষ্কর বলেন, “গতকাল দুপুরে ইউনাইটেড পাওয়ারের সরবরাহ বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর সন্ধ্যায় আমরা প্রথমে ১০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ করি, যা দিয়ে সিকিউরিটি ও আবাসিক চাহিদা মেটানো হয়। আজ সকাল থেকে মোট ৩৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ করছি।”
তিনি আরও জানান, “আমরা কবীরপুর গ্রিড থেকে ডিইপিজেডের দুটি সাবস্টেশনে সরাসরি বিদ্যুৎ দিচ্ছি। ইউনাইটেড পাওয়ার যদি ভবিষ্যতেও ব্যর্থ হয়, তবে আমরাই সরবরাহ চালিয়ে যেতে প্রস্তুত আছি।”
এই মুহূর্তে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের নিশ্চয়তা দিতে না পারলেও পল্লী বিদ্যুৎ ও ডিইপিজেড কর্তৃপক্ষ সম্মিলিতভাবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
সূত্র:টিবিএস