১১ জুন ২০২৫ — আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সারা দেশে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা বাড়বে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর। এর পাশাপাশি আসছে শুক্রবার (১৩ জুন) থেকে সারাদেশে তাপমাত্রা ধীরে ধীরে হ্রাস পাওয়ার সম্ভাবনাও রয়েছে।
মঙ্গলবার (১০ জুন) রাতে আবহাওয়া অধিদপ্তরের নিয়মিত বুলেটিনে এ তথ্য জানানো হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে,
বুধবার (১১ জুন) সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ, ঢাকা, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রবৃষ্টি হতে পারে। চট্টগ্রাম ও সিলেটের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারি বর্ষণের সম্ভাবনা রয়েছে।
এ সময় দিনের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
বর্তমানে নীলফামারী জেলার ওপর দিয়ে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। এছাড়া ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও ফেনী জেলাসহ দেশের উত্তর-পশ্চিম ও মধ্যাঞ্চলের বিভিন্ন এলাকায় মৃদু তাপপ্রবাহ বিরাজমান রয়েছে, যা কিছু কিছু এলাকায় প্রশমিত হতে পারে।
বৃহস্পতিবার (১২ জুন) সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ ও ঢাকা বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রবৃষ্টি হতে পারে। কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারি বর্ষণও হতে পারে।
শুক্রবার (১৩ জুন) সন্ধ্যার পর থেকে দেশের প্রায় সব বিভাগে বৃষ্টির প্রবণতা আরও বাড়বে। বিশেষ করে রংপুর, ময়মনসিংহ, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং রাজশাহী বিভাগের কিছু এলাকায় দমকা হাওয়াসহ বজ্রবৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছে। এই সময় দেশের দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
শনিবার (১৪ জুন) থেকে বৃষ্টির মাত্রা আরও তীব্র হতে পারে। আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে অতিভারি বর্ষণ ঘটতে পারে এবং সারাদেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে।
নদীভাঙনপ্রবণ ও পাহাড়ি এলাকাগুলোতে সতর্কতা জারি করা যেতে পারে।
শহরাঞ্চলে জলাবদ্ধতা এড়াতে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন।
আবহাওয়ার এই পরিবর্তন চাষাবাদ, পরিবহন ও দৈনন্দিন জনজীবনে প্রভাব ফেলতে পারে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন।