‘সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’-এর খসড়া অনুমোদনের প্রতিবাদে বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে উঠেছে সচিবালয়। রোববার দ্বিতীয় দিনের মতো সচিবালয়ের ভেতর বিক্ষোভ মিছিল করেছে বাংলাদেশ সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী সংযুক্ত পরিষদ।
এদিন দুপুরে শত শত কর্মকর্তা-কর্মচারী নিজ নিজ দপ্তর ছেড়ে নেমে আসেন সচিবালয়ের নিচতলায়। বিক্ষোভকারীরা স্লোগান দেন—‘অবৈধ কালো আইন মানি না’, ‘সংবিধানবিরোধী আইন বাতিল কর’ ইত্যাদি।
বিক্ষোভে অংশ নেওয়া কর্মচারীরা অভিযোগ করেন, প্রস্তাবিত অধ্যাদেশটিতে সাড়ে চার দশক আগের কয়েকটি নিবর্তনমূলক ধারা অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে, যার ফলে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে সহজেই শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ ও চাকরি থেকে বরখাস্ত করার সুযোগ রাখা হয়েছে।
সংগঠনটির নেতারা বলেন, “এই অধ্যাদেশ আমাদের নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে ফেলবে। সংবিধানে প্রদত্ত আইনি সহায়তা ও আত্মপক্ষ সমর্থনের ন্যায্য অধিকার খর্ব করবে। এটি নিঃসন্দেহে সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক।”
গত বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে ‘সরকারি চাকরি আইন, ২০১৮’ সংশোধন করে ‘সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’-এর খসড়া অনুমোদন দেওয়া হয়।
অধ্যাদেশটি এখনো আইন আকারে জারি হয়নি, তবে খসড়া অনুমোদনের পর থেকেই সচিবালয়ের কর্মচারীদের মাঝে ব্যাপক উদ্বেগ তৈরি হয়েছে।
বাংলাদেশ সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী সংযুক্ত পরিষদ এই অধ্যাদেশকে "নিবর্তনমূলক ও কালাকানুন" আখ্যা দিয়ে অবিলম্বে এর খসড়া প্রত্যাহার ও পূর্ণসংলাপের মাধ্যমে নতুন প্রস্তাবনা তৈরির দাবি জানিয়েছে। তারা হুঁশিয়ার করে বলেন, দাবি মানা না হলে আন্দোলন আরও বেগবান করা হবে।