ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী শাহরিয়ার আলম সাম্যর নির্মম হত্যাকাণ্ড গোটা ক্যাম্পাসে শোক ও উদ্বেগের ছায়া ফেলেছে। এই ঘটনাকে বিশ্ববিদ্যালয় এলাকার নিরাপত্তার জন্য গুরুতর হুমকি হিসেবে উল্লেখ করেছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির।
ঢাবি ছাত্রশিবিরের সভাপতি এসএম ফরহাদ এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে বলেন, “সাম্য ছুরিকাঘাতে নিহত হওয়ার ঘটনা কেবল ব্যক্তিগত ক্ষতি নয়, বরং পুরো ক্যাম্পাসের নিরাপত্তার প্রতি হুমকিস্বরূপ।” তিনি দ্রুত তদন্ত করে অপরাধীদের চিহ্নিত ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
গত ১৩ মে দিবাগত রাত ১২টার দিকে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যান এলাকায় দুর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাতে নিহত হন সাম্য (২৫)। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের ২০১৮–১৯ সেশনের মাস্টার্স পর্যায়ের শিক্ষার্থী এবং স্যার এ এফ রহমান হল শাখা ছাত্রদলের সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক ছিলেন। তার গ্রামের বাড়ি সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া থানায়।
ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়লে শিক্ষার্থী, সহপাঠী ও বিভিন্ন রাজনৈতিক সংগঠনের মধ্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়। ছাত্রশিবির বলছে, “বিশ্ববিদ্যালয়ের সংলগ্ন এলাকায় বহিরাগত সন্ত্রাসীদের এমন নৃশংসতায় ছাত্রসমাজ আতঙ্কিত ও ক্ষুব্ধ।”
ছাত্রশিবিরের বিবৃতিতে বলা হয়, সুষ্ঠু ও দ্রুত বিচারই সাম্যর প্রতি প্রকৃত শ্রদ্ধা হতে পারে এবং ভবিষ্যতে এমন দুঃখজনক ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে।