গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র গঠনের লক্ষ্যে বাংলাদেশের জনগণের দীর্ঘদিনের সংগ্রামের কথা স্মরণ করে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেছেন, “চব্বিশের জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে ফ্যাসিস্ট শাসকের পলায়নের মাধ্যমে গণতন্ত্রের প্রাথমিক বিজয় নিশ্চিত হয়েছে। এখন সময় এসেছে বিজয়ের লক্ষ্য পূরণে ঐক্যবদ্ধভাবে এগিয়ে যাওয়ার।”
সোমবার জাতীয় সংসদ ভবনের এলডি হলে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে গণতান্ত্রিক বাম ঐক্যের এক গুরুত্বপূর্ণ আলোচনার সূচনায় তিনি এসব কথা বলেন।
আলোচনায় অংশ নেওয়া গণতান্ত্রিক বাম ঐক্যের ২০ সদস্যের প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন সোস্যাল ডেমোক্রেটিক পার্টির আহ্বায়ক ও গণতান্ত্রিক বাম ঐক্যের সমন্বয়ক আবুল কালাম আজাদ। প্রতিনিধি দলে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দল (এমএল)-এর সভাপতি কমরেড হারুন চৌধুরী, সমাজতান্ত্রিক মজদুর পার্টির সভাপতি কমরেড আলি হোসেন, প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক দল-পিডিপি’র মহাসচিব হারুন আল রশীদ খান এবং সমাজতান্ত্রিক মজদুর পার্টির সাধারণ সম্পাদক কমরেড ডা. সামছুল আলম।
অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, “জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের মূল লক্ষ্য একদিকে সর্বজনীন ঐকমত্য প্রতিষ্ঠা করা, অপরদিকে দেশের রাজনৈতিক শক্তি ও নাগরিক সমাজকে সঙ্গে নিয়ে গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা বজায় রাখা। এ ঐক্যকে ভিত্তি করেই একটি জবাবদিহিমূলক রাষ্ট্র বিনির্মাণ সম্ভব।”
তিনি আরও বলেন, “আমরা ইতিহাসের এক মাহেন্দ্রক্ষণে দাঁড়িয়ে। স্বাধীনতার পর এমন সুযোগ আর আসেনি। তাই জাতির অপূর্ণ স্বপ্নগুলো বাস্তবায়নে এখনই আমাদের দায়িত্বশীল ভূমিকা রাখতে হবে।”
আলোচনায় জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের অন্যান্য সদস্য হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিচারপতি মো. এমদাদুল হক, ড. বদিউল আলম মজুমদার, সফর রাজ হোসেন, ড. ইফতেখারুজ্জামান এবং প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার।
সূত্র:আমার দেশ