প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের হুঁশিয়ারির পরও যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে সরকারবিরোধী বিক্ষোভ। নাগরিক অধিকার, পুলিশি সহিংসতা, এবং অভিবাসন ও নিরাপত্তা নীতির বিরুদ্ধে হাজারো মানুষ রাস্তায় নেমে আসছেন। আন্দোলনকারীরা প্রেসিডেন্টের প্রশাসনকে স্বৈরাচারী বলে অভিযুক্ত করছেন।
এএফপি’র বরাতে জানা গেছে, ওয়াশিংটন ডিসি, নিউইয়র্ক, শিকাগো, লস অ্যাঞ্জেলেসসহ অন্তত এক ডজন শহরে বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এসব শহরে অংশগ্রহণকারীদের সংখ্যা হাজার ছাড়িয়েছে। বিভিন্ন প্ল্যাকার্ড ও ব্যানারে তারা সরকারের দমনমূলক নীতির প্রতিবাদ জানিয়েছেন।
ট্রাম্পের হুমকি ও সেনা মোতায়েনের ইঙ্গিত
সম্প্রতি এক বিবৃতিতে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেন,
“যদি বিক্ষোভকারীরা সহিংসতা করে, তবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
এছাড়া তিনি প্রয়োজনে সেনাবাহিনী মোতায়েনের ইঙ্গিতও দেন।
তবে আন্দোলনকারীরা এই হুমকি প্রত্যাখ্যান করে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন। নিউইয়র্কের এক বিক্ষোভকারী বলেন,
“আমরা ভয় পাই না। এখনই আমাদের কথা বলার সময়।”
সংঘর্ষ ও কারফিউ
বিক্ষোভ চলাকালে কয়েকটি স্থানে পুলিশ ও বিক্ষোভকারীদের মধ্যে সংঘর্ষের খবর পাওয়া গেছে। সহিংসতা নিয়ন্ত্রণে কিছু শহরে কারফিউ জারি করা হলেও আন্দোলনের গতি কমেনি।
মানবাধিকার সংস্থাগুলোর উদ্বেগ
আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলো ট্রাম্পের বক্তব্যের কঠোর সমালোচনা করেছে। তারা বলছে,
“মতপ্রকাশের অধিকার মার্কিন সংবিধানে সুরক্ষিত। সরকার এ অধিকার দমন করলে তা কর্তৃত্ববাদী প্রবণতার পরিচায়ক।”
প্রশাসনের অবস্থান
ট্রাম্প প্রশাসনের এক মুখপাত্র জানান,
“শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভকারীদের অধিকার রক্ষা করা হবে। তবে বিশৃঙ্খলা ও সহিংসতা কোনোভাবেই বরদাশত করা হবে না।”
নিরাপত্তা জোরদার
দেশজুড়ে নিরাপত্তা বাহিনীকে সর্বোচ্চ সতর্কাবস্থায় রাখা হয়েছে। বড় শহরগুলোতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন ও নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।
সূত্র: এএফপি
তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বিলুপ্তির রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি প্রকাশ
বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে কাল যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ বৈঠক
ইরানের প্রেসিডেন্টের দাবি, ইসরায়েল তাকে ‘হত্যার’ চেষ্টা করেছে
খাদ্যের জন্য মৃত্যুকে উপেক্ষা করে গাজায় ক্ষুধার্ত নারী-পুরুষ-শিশুর লড়াই