নারী বিষয়ক সংস্কার কমিশনের প্রস্তাবিত প্রতিবেদনে যৌন পেশাকে শ্রমের স্বীকৃতি দেয়ার প্রস্তাবকে "সকল ধর্মের বিরোধী" এবং "জাতি বিনাশী" হিসেবে আখ্যা দিয়ে তা প্রত্যাখ্যানের আহ্বান জানিয়েছেন বিভিন্ন পেশাজীবী, শিক্ষাবিদ, ধর্মীয় নেতৃবৃন্দ ও মানবাধিকারকর্মীরা।
আজ সকাল ১০টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে ওয়ান ইনিশিয়েটিভ রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (আইআরডি) আয়োজিত ‘নারী বিষয়ক সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন : বিতর্ক ও পর্যালোচনা’ শীর্ষক গোল টেবিল বৈঠকে বক্তারা এ অভিমত ব্যক্ত করেন।
সভায় সভাপতিত্ব করেন মানারাত ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আব্দুর রব। উপস্থাপনা করেন ড. আবদুল মান্নান।
বক্তারা বলেন, প্রস্তাবিত প্রতিবেদনে নারী অধিকার নিশ্চিতের নামে ধর্মীয় মূল্যবোধ ও পারিবারিক কাঠামোকে চ্যালেঞ্জ করা হয়েছে। বিশেষ করে পতিতাবৃত্তিকে শ্রম হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার সুপারিশকে রাষ্ট্রীয়ভাবে অনৈতিকতা ও অবক্ষয়ের পথে ঠেলে দেওয়ার অপচেষ্টা হিসেবে উল্লেখ করেন তারা।
বক্তব্য দেন অধ্যাপক ড. ফেরদৌসী আরা খানম, শহিদুল ইসলাম, ডা. শামিলা নাহার, অ্যাডভোকেট সাবিকুন নাহার মুন্নি, অধ্যাপক আরিফুর রহমান অপু, ডা. শাহীন আরা আনোয়ারী, ড. খলিলুর রহমান মাদানী, কর্নেল (অব.) হাসিনুর রহমান, অধ্যাপক ড. ফকরুল ইসলামসহ অনেকে।
ঢাকা মহানগরী জামায়াতের নেতা ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ বলেন, কমিশন প্রস্তাবিত অভিন্ন পারিবারিক আইন সব ধর্মের বিরুদ্ধে যায় এবং নারীর নামে সমাজে বিভ্রান্তি ছড়ায়। একই সুরে জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ড. হামিদুর রহমান আযাদ বলেন, এই কমিশনের প্রস্তাবনার মাধ্যমে ইসলামি উত্তরাধিকার আইনে হস্তক্ষেপের চেষ্টা হয়েছে।
সভাপতির বক্তব্যে ড. মোহাম্মদ আব্দুর রব বলেন, পতিতাবৃত্তির স্বীকৃতি মানে সমাজে নৈতিক অবক্ষয়কে বৈধতা দেওয়া। তিনি বলেন, এ ধরনের সুপারিশ জাতির ভবিষ্যৎ ধ্বংস করবে এবং তা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। নারী কমিশনের প্রতিবেদন বাতিল করে নতুনভাবে প্রস্তাবনা তৈরির আহ্বান জানান তিনি।
প্রেস বিজ্ঞপ্তি