২০০৪ সালের ২১ আগস্ট বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের সমাবেশে গ্রেনেড হামলা মামলায় যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এবং মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরসহ সব আসামির খালাসের রায়ের বিরুদ্ধে আপিলের অনুমতি দিয়েছে আপিল বিভাগ। রোববার (১ জুন) প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন আপিল বেঞ্চ এই আদেশ দেয়।
রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ‘লিভ টু আপিল’ মঞ্জুর করে আগামী ১ জুলাই শুনানির দিন ধার্য করেছেন আদালত। সেই সঙ্গে রাষ্ট্রপক্ষকে এই সময়ের মধ্যে আপিলের সারসংক্ষেপ জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এই মামলায় রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মুহাম্মদ আবদুল জব্বার ভুঞা। আসামিপক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এস এম শাহজাহান ও শিশির মনির। এর আগে ১৫ মে থেকে শুরু হওয়া শুনানি শেষ হয় ২৮ মে। আজ লিভ মঞ্জুর করে তা গ্রহণ করে আপিল বিভাগের আদেশ আসে।
উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের ১ ডিসেম্বর হাইকোর্ট বিচারিক আদালতের দেওয়া যাবজ্জীবন ও মৃত্যুদণ্ড বাতিল করে বিএনপি নেতা তারেক রহমান, লুৎফুজ্জামান বাবরসহ অন্যদের খালাস দেন। ওই রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ আপিলের আবেদন জানায়।
প্রসঙ্গত, ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার সমাবেশে ভয়াবহ গ্রেনেড হামলা হয়। এতে আইভি রহমানসহ ২৪ জন নিহত হন এবং শতাধিক নেতা-কর্মী আহত হন। এ ঘটনায় হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে পৃথক দুটি মামলা হয়, যার বিচার শেষে বিচারিক আদালত কয়েকজনকে মৃত্যুদণ্ড ও কয়েকজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন। তবে হাইকোর্ট সেই রায় বাতিল করে খালাস দেয়, যা আজ আপিল বিভাগে চ্যালেঞ্জ হলো।
৫ আগস্ট যাত্রাবাড়ীতে পুলিশের নির্বিচার গুলিতে কমপক্ষে ৫২ জন নিহত হন বলে বিবিসি আই- এর একটি অনুসন্ধানে উঠে এসেছে
গণহত্যার মামলায় শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের আদেশ ১০ জুলাই
শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গঠনে দ্বিতীয় দিনের শুনানি আজ
আদালত অবমাননার মামলা: শেখ হাসিনার ৬ মাসের কারাদণ্ড