আলোচিত ‘ডামি নির্বাচন ও ভোট চুরির’ অভিযোগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ১৯৩ জনকে আসামি করে করা মামলা দায়েরের মাত্র ৪৮ ঘণ্টার মাথায় তা প্রত্যাহারের আবেদন করেছেন মামলার বাদি বিএনপি নেতা কামরুল হাসান। বুধবার (২১ মে) টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তিনি এ আবেদন করেন।
বাদিপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট আবু রায়হান খান জানান, বাদি নানামুখী পারিবারিক ও সামাজিক চাপের কারণে এবং নিরাপত্তাহীনতায় ভুগে মামলা পরিচালনায় অক্ষমতা প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, “বিচারক রুমেলিয়া সিরাজাম বাদির জবানবন্দি গ্রহণ করেছেন এবং আগামী ১৩ আগস্ট মামলার পরবর্তী তারিখে আবেদনটির বিষয়ে আদেশ দেবেন।”
মামলার বাদি কামরুল হাসান (৫৫) টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর উপজেলার অলোয়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি এবং প্রয়াত মমতাজ উদ্দিন আহমেদের পুত্র। বাদির মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি কল রিসিভ করেননি।
উল্লেখ্য, ২০ মে দায়েরকৃত মামলায় শেখ হাসিনা ছাড়াও প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল, নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য, পাঁচজন সাংবাদিক, একজন আইনজীবী ও আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীদের আসামি করা হয়। একইসঙ্গে অজ্ঞাত পরিচয়ের আরও ২০০ জনকে আসামি করা হয়।
মামলার পরপরই রাজনৈতিক অঙ্গনে এবং সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপক আলোড়ন তৈরি হয়। অথচ মাত্র দুই দিনের মাথায় মামলা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্তে নতুন করে প্রশ্ন উঠেছে এর পেছনে ‘প্রভাব’ বা ‘চাপের’ প্রসঙ্গে। বিএনপির একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র জানিয়েছে, মামলার পর ঢাকার উত্তরায় বিএনপির এক সিনিয়র নেতার বাসায় একাধিক দফা বৈঠকের পর মামলাটি প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত আসে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, এ ঘটনার মধ্য দিয়ে দেশের রাজনৈতিক বাস্তবতা এবং বিচারিক প্রক্রিয়ায় স্বাধীনতা ও নিরাপত্তার প্রশ্নটি আবারও সামনে এসেছে।
সূত্র:নয়াদিগন্ত
৫ আগস্ট যাত্রাবাড়ীতে পুলিশের নির্বিচার গুলিতে কমপক্ষে ৫২ জন নিহত হন বলে বিবিসি আই- এর একটি অনুসন্ধানে উঠে এসেছে
গণহত্যার মামলায় শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের আদেশ ১০ জুলাই
শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গঠনে দ্বিতীয় দিনের শুনানি আজ
আদালত অবমাননার মামলা: শেখ হাসিনার ৬ মাসের কারাদণ্ড