খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুবি) ইতিহাস ও সভ্যতা বিভাগের প্রভাষক ও সহকারী ছাত্রবিষয়ক পরিচালক হাসান মাহমুদ সাকির ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার (২ মে) রাত ১০টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরাতন প্রশাসনিক ভবনের সামনে এ হামলা চালান বাংলা বিভাগের ২০১৮ ব্যাচের সাবেক শিক্ষার্থী আবদুল্লাহ নোমান।
হামলায় গুরুতর আহত হন প্রভাষক মাহমুদ সাকি। ঘটনার পরপরই তাঁকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তবে কী কারণে এই হামলা চালানো হয়েছে, তাৎক্ষণিকভাবে তা জানা যায়নি।
শিক্ষকের ওপর হামলার প্রতিবাদে রাতেই ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। তারা হামলাকারী আবদুল্লাহ নোমানকে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে আজীবনের জন্য অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেন এবং দ্রুততম সময়ের মধ্যে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
রাত ১টার দিকে বিক্ষোভ-পরবর্তী সমাবেশে একাত্মতা প্রকাশ করে বক্তব্য দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. রেজাউল করিম। তিনি বলেন, “আমি নির্বাক। শিক্ষকের গায়ে হাত তোলা একটি নিকৃষ্ট ও গর্হিত কাজ, যা কল্পনাও করা যায় না। খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩৫ বছরের ইতিহাসে এ ধরনের জঘন্যতম ঘটনা কখনও ঘটেনি।”
উপাচার্য আরও বলেন, “একজন শিক্ষক লাঞ্ছিত হওয়া মানে গোটা শিক্ষক সমাজ লাঞ্ছিত হওয়া। হামলাকারীকে শাস্তির আওতায় আনতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালাবে।”
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে এ ঘটনায় আনুষ্ঠানিক তদন্ত শুরু করার কথা জানানো হয়েছে। এ ঘটনায় ক্যাম্পাসজুড়ে চরম ক্ষোভ ও উত্তেজনা বিরাজ করছে।