ছাত্রজীবনে ছাত্রলীগের মাধ্যমে রাজনীতিতে যুক্ত হওয়া শাহ মো. আবু জাফরের রাজনৈতিক জীবন নানা মাত্রায় আলোচিত ও সমালোচিত। রাজনীতিতে প্রায় পাঁচ দশকের পথচলায় তিনি একাধিকবার দল বদল করেছেন। সম্প্রতি নতুন দল ‘জনতা পার্টি বাংলাদেশ’-এ প্রধান উপদেষ্টার দায়িত্ব গ্রহণের মাধ্যমে আবারও আলোচনায় এসেছেন তিনি।
রাজনৈতিক জীবনে ফরিদপুর-১ ও ফরিদপুর-৪ আসন থেকে একাধিকবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন শাহ জাফর। তাঁর এই পথচলায় আওয়ামী লীগ, বাকশাল, জাতীয় পার্টি, বিএনপি, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলন (বিএনএম) এবং সর্বশেষ জনতা পার্টিতে যোগ দেওয়ার ইতিহাস রয়েছে। তবে এই দলবদলের ধারাবাহিকতা ঘিরে সমালোচনাও কম নয়। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কেউ কেউ একে আদর্শহীন রাজনীতির প্রতিফলন বলছেন, আবার কেউ কেউ এটিকে ক্ষমতার রাজনীতির অংশ বলেও আখ্যায়িত করছেন।
রাজনীতিতে তাঁর দলবদলের পেছনে ব্যক্তিস্বার্থের কোনো ভূমিকা নেই বলে দাবি করেছেন শাহ জাফর। তিনি বলেন, রাজনৈতিক সিদ্ধান্তগুলো তিনি জনগণের কল্যাণের কথা ভেবেই নিয়েছেন। ব্যক্তিগত লাভ বা সম্পদ অর্জনের জন্য কখনোই কোনো দলে যোগ দেননি। বরং এলাকার উন্নয়নের জন্যই প্রতিটি সময় সঠিক মনে করা পথ বেছে নিয়েছেন।
তিনি জানান, আওয়ামী লীগের মধ্যকার বিভক্তির সময় তিনি আব্দুর রাজ্জাকের অনুসারী হিসেবে বাকশালে যোগ দেন। এরপর রাজনীতির প্রয়োজনে সরদার আমজাদ হোসেনের নেতৃত্বে নির্বাচন করেন। পরে জাতীয় পার্টিতে যোগ দেন। জাতীয় পার্টির ভাঙনের পর বিএনপিতে যোগ দিয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। বিএনপি নির্বাচনে না গেলে তিনি বিএনএমের ব্যানারে নির্বাচন করেন। সর্বশেষ ওই দল নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়লে তিনি নতুন রাজনৈতিক প্ল্যাটফর্ম হিসেবে জনতা পার্টিকে বেছে নেন।
তাঁর রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বীরা অবশ্য ভিন্নমত পোষণ করেন। ফরিদপুরের রাজনীতিতে তাঁর দীর্ঘদিনের প্রতিদ্বন্দ্বী খন্দকার নাসিরের মতে, শাহ জাফর রাজনীতি করেছেন কেবল ক্ষমতার জন্য, আদর্শ নয়। বিএনপির স্থানীয় নেতারাও তাঁকে ‘বিতর্কিত’ ও ‘দলবদলের প্রতীক’ হিসেবে অভিহিত করছেন।
সব সমালোচনার জবাবে শাহ জাফর বলেছেন, তিনি কোনোদিন কাউকে দল থেকে বের করে আনেননি। যাঁরা তাঁর চিন্তাভাবনার সঙ্গে একমত হয়েছেন, তাঁরাই তাঁর সঙ্গে ছিলেন। এখনো তিনি জনগণের সেবায় রাজনীতি করছেন এবং ভবিষ্যতেও করবেন বলে জানান।
জনতা পার্টির আত্মপ্রকাশের মধ্য দিয়ে নতুন এক অধ্যায়ে প্রবেশ করলেন শাহ মো. আবু জাফর। এবারও তিনি কতদূর যেতে পারবেন, তা সময়ই বলে দেবে। তবে এত দলবদলের পর তাঁর ওপর জনগণের আস্থা কতটুকু রয়েছে, সে প্রশ্ন এখন রাজনীতির অঙ্গনে ঘুরপাক খাচ্ছে।
সূত্র:প্রথম আলো
যুক্তরাষ্ট্র ভিয়েতনামকে ছাড় দিতে রাজি হয়েছে, কিন্তু আমাদের সঙ্গে ঘাটতি খুবই ছোট- বাণিজ্য উপদেষ্টা
যারা সংস্কার পিছিয়ে দিতে চায় তারাই নির্বাচন পেছাতে চায়: হাসনাত
সানেম'র জরিপ রিপোর্ট অনুযায়ী বিএনপি ৩৯, জামায়াত ২২, এনসিপি ১৬ ভাগ ভোট পাবে
কুমিল্লা অঞ্চলের ১৬ আসনে খেলাফত মজলিসের সম্ভাব্য প্রার্থীদের নাম প্রকাশ