গতকাল শনিবার রাতে আওয়ামী লীগের সব ধরনের রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। এ সিদ্ধান্তের ধারাবাহিকতায় আজ রোববার (১১ মে) সন্ত্রাসবিরোধী (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫–এর খসড়ার নীতিগত ও চূড়ান্ত অনুমোদনে স্বাক্ষর করেছেন প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
অধ্যাদেশ অনুযায়ী, কোনো রাজনৈতিক দল বা ব্যক্তি সন্ত্রাসী কার্যকলাপে জড়িত রয়েছে বলে যুক্তিসংগত প্রমাণ থাকলে সরকার তাদের কার্যক্রম নিষিদ্ধ এবং গেজেটে তালিকাভুক্ত করতে পারবে।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেসসচিব শফিকুল আলম জানিয়েছেন, সোমবার (১২ মে) এ বিষয়ে গেজেট প্রকাশ করা হবে। তিনি বলেন,
“এই সংশোধনীর মাধ্যমে এখন থেকে সন্ত্রাসী কার্যকলাপে জড়িত রাজনৈতিক দলসহ যেকোনো সত্তার কার্যক্রম আইনের আওতায় নিষিদ্ধ হতে পারে।”
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে জানানো হয়,
“সন্ত্রাসবিরোধী আইন, ২০০৯”-এ আগে সত্তা বা সংগঠনের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করার বিধান ছিল না। এই সংশোধনী সেই ঘাটতি পূরণ করেছে।
এদিকে, যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিস মাহমুদ ফেসবুকে এক পোস্টে জানিয়েছেন,
“আওয়ামী লীগের পক্ষে বা সমর্থনে কোনো প্রেস বিবৃতি, প্রকাশনা, মিছিল, সভা-সমাবেশ, অনলাইন প্রচার বা জনসমক্ষে বক্তৃতা নিষিদ্ধ করা হবে।”
তিনি আরও বলেন, “এই নিষেধাজ্ঞা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও প্রযোজ্য হবে।”
সংসদ না থাকায় অধ্যাদেশের মাধ্যমে এই আইন কার্যকর করা হচ্ছে। সূত্র জানায়, এটি গণমাধ্যম, অনলাইন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম, মিছিল-মিটিংসহ সব ধরনের প্রচার কার্যক্রমে প্রভাব ফেলবে এবং আইন ভাঙলে কঠোর শাস্তির বিধানও রাখা হয়েছে।
এই সিদ্ধান্ত বাংলাদেশের রাজনীতিতে একটি নতুন মোড় এনে দিয়েছে, যা দেশে রাজনৈতিক ভারসাম্য ও গণতন্ত্রচর্চা বিষয়ে বড় ধরনের প্রশ্নও তুলেছে।
যুক্তরাষ্ট্র ভিয়েতনামকে ছাড় দিতে রাজি হয়েছে, কিন্তু আমাদের সঙ্গে ঘাটতি খুবই ছোট- বাণিজ্য উপদেষ্টা
যারা সংস্কার পিছিয়ে দিতে চায় তারাই নির্বাচন পেছাতে চায়: হাসনাত
সানেম'র জরিপ রিপোর্ট অনুযায়ী বিএনপি ৩৯, জামায়াত ২২, এনসিপি ১৬ ভাগ ভোট পাবে
কুমিল্লা অঞ্চলের ১৬ আসনে খেলাফত মজলিসের সম্ভাব্য প্রার্থীদের নাম প্রকাশ