জুলাই গণঅভ্যুত্থানে পতনের পর বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা করে নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
সোমবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ)-এর ‘মিট দ্য রিপোর্টার্স’ অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি এ কথা জানান। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ডিআরইউ সভাপতি আবু সালেহ আকন ও সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হাসান সোহেল।
প্রেস সচিব বলেন, “আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের বিষয়ে সমস্ত পার্টি মিলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আমরা সব দলের সঙ্গে কথা বলেছি। দু-একটি দল মতভিন্নতা রাখতেই পারে, তবে সেটি কোনো বড় বিষয় নয়। বিষয়টি সবাই গ্রহণ করেছে।”
জাতিসংঘের প্রতিবেদনের বরাতে শফিকুল আলম জানান, ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টে সংঘটিত ঘটনাবলিতে আনুমানিক ২ হাজার মানুষের মৃত্যু ঘটেছে। “আওয়ামী লীগ গত ১৫ বছরে যে পরিমাণ লুটপাট, খুন, গুম করেছে, তা অতীতের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে। সাড়ে তিন হাজারের বেশি মানুষ গুম হয়েছে,” বলেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, “এই দলের অপশাসনে শিশু পর্যন্ত রেহাই পায়নি। মানুষের সব অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়েছে। গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের জন্যই দলটি নিষিদ্ধ হওয়ার যোগ্য হয়ে উঠেছে।”
আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত নিতে এত সময় লাগল কেন—এ প্রশ্নের জবাবে শফিকুল আলম বলেন, “জুলাই-আগস্টে জনগণের বিপুল প্রতিরোধ ও জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনের তদন্ত প্রতিবেদন নিষেধাজ্ঞার জন্য আন্তর্জাতিক সহানুভূতি তৈরি করে। এর পরিপ্রেক্ষিতেই অন্তর্বর্তী সরকার সিদ্ধান্ত নেয়। এরপর দেশজুড়ে মানুষ স্বস্তির নিশ্বাস ফেলেছে।”
১৪ দল ও জাতীয় পার্টির বিষয়ে জানতে চাইলে প্রেস সচিব বলেন, “জাতিসংঘের প্রতিবেদনে আওয়ামী লীগের মানবাধিকার লঙ্ঘনের প্রমাণ রয়েছে। অন্য দলের বিরুদ্ধে সে রকম সুস্পষ্ট তথ্য আসেনি। শেখ হাসিনার নির্দেশেই হত্যা, গুমসহ অন্যান্য অপরাধ সংঘটিত হয়েছে, এ বিষয়টি প্রমাণিত।”
আর্থিক লুটপাটের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “ইসলামী ব্যাংক থেকে ৭৫ হাজার কোটি টাকা তুলে নেওয়া হয়েছে। আওয়ামী লীগের এক কবিতা লেখক ফারমার্স ব্যাংক থেকে কয়েক কোটি টাকা নিয়েছেন। এভাবে দেশের সম্পদ লুটপাট হয়েছে।”
প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসকে ঘিরে সুবিধা পাওয়ার অভিযোগ প্রসঙ্গে শফিকুল আলম বলেন, “গ্রামীণ বিশ্ববিদ্যালয় কিংবা গ্রামীণ এমপ্লয়মেন্ট এজেন্সি ড. ইউনূসের ব্যক্তিগত সম্পত্তি নয়। উনার কোনও শেয়ার বা ব্যক্তিগত অর্থনৈতিক স্বার্থ এসব প্রতিষ্ঠানে নেই।”
তিনি দাবি করেন, “২০০৯ সালে সৌদি আরবে গিয়ে ড. ইউনূসকে বলা হয়, তিনি যদি হাসপাতাল স্টাফ পাঠান, তবে খরচ কম হবে। সেই সূত্রে আবেদন করা হলেও আওয়ামী লীগ সরকার তা অনুমোদন দেয়নি। ২০২৪ সালের পরে লাইসেন্স অনুমোদিত হলে সেটি অন্যায় নয়।”
তিনি বলেন, “গ্রামীণ বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য ২০১৪ সালে জমি কেনা হয়, কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন তৎকালীন রাজনৈতিক কারণে অনুমতি দেয়নি। সম্প্রতি অডিট এবং যথাযথ প্রক্রিয়া শেষে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।”
সূত্র:আমার দেশ
যুক্তরাষ্ট্র ভিয়েতনামকে ছাড় দিতে রাজি হয়েছে, কিন্তু আমাদের সঙ্গে ঘাটতি খুবই ছোট- বাণিজ্য উপদেষ্টা
যারা সংস্কার পিছিয়ে দিতে চায় তারাই নির্বাচন পেছাতে চায়: হাসনাত
সানেম'র জরিপ রিপোর্ট অনুযায়ী বিএনপি ৩৯, জামায়াত ২২, এনসিপি ১৬ ভাগ ভোট পাবে
কুমিল্লা অঞ্চলের ১৬ আসনে খেলাফত মজলিসের সম্ভাব্য প্রার্থীদের নাম প্রকাশ