ছুটিতে থাকা বিমান বাহিনীর সদস্যকে মারধর, পুলিশের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা

ঢাকার ধামরাইয়ে ছুটিতে থাকা এক বিমান বাহিনীর সদস্যকে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ছাড়াই হাতকড়া পরিয়ে মারধরের অভিযোগ উঠেছে পুলিশের দুই সহকারী উপপরিদর্শকের (এএসআই) বিরুদ্ধে। এ সময় প্রতিবাদ করায় ওই সদস্যের মা, বাবা ও স্ত্রীকেও মারধর করা হয় বলে অভিযোগ রয়েছে।

ভুক্তভোগী বিমান বাহিনীর কর্পোরাল জসিম উদ্দিন এ ঘটনায় ধামরাই থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন। ঘটনার পর জেলা পুলিশ সুপারের নির্দেশে অভিযুক্ত দুই এএসআই সেলিম ও শহীদুর রহমানকে থানা থেকে প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইনসে সংযুক্ত করা হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ধামরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুল ইসলাম।

ঘটনার বিবরণ:
জসিম উদ্দিনের করা জিডি ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার (১ মে) রাত সাড়ে ১০টার দিকে ধামরাই থানার এএসআই সেলিম ও শহীদুর রহমানসহ চারজন পুলিশ সদস্য বালিয়া ইউনিয়নের পাবরাইল গ্রামে জসিম উদ্দিনের বাড়িতে যান।

পুলিশ সদস্যরা জানান, জসিম উদ্দিনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা আছে। সেই দাবি করে তাকে হাতকড়া পরিয়ে বাড়ি থেকে টেনে-হিঁচড়ে রাস্তায় নিয়ে মারধর করেন তারা। জসিম উদ্দিন তখন নিজেকে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর সদস্য বলে পরিচয় দিয়ে পরোয়ানা দেখতে চান। তবে পুলিশ সদস্যরা তার কথা শোনেননি।

এসময় প্রতিবাদ করতে এগিয়ে গেলে জসিম উদ্দিনের মা সুফিয়া বেগম, বাবা আক্কাস আলী ও স্ত্রী জিয়াসমিনকেও মারধর করেন পুলিশ সদস্যরা।

পরে এএসআই সেলিম থানায় ফোন করে জানতে পারেন, জসিম উদ্দিনের নামে কোনো পরোয়ানা নেই। এ খবর পেয়ে কাওয়ালিপাড়া বাজার পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের এসআই অমল কুমার রায় ঘটনাস্থলে গিয়ে জসিম উদ্দিনের হাতকড়া খুলে দেন।

ঘটনার পর অভিযুক্ত এএসআই সেলিম ও শহীদুর রহমান বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানাতে নিষেধ করেন এবং জসিম উদ্দিনের কাছে ক্ষমা চান।

পুলিশের পদক্ষেপ:
জসিম উদ্দিন শুক্রবার ধামরাই থানায় এ ঘটনায় জিডি করেন। এরপর শনিবার ঢাকা জেলা পুলিশ সুপারের নির্দেশে অভিযুক্ত দুই এএসআইকে থানা থেকে প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইনসে পাঠানো হয়।

ধামরাই থানার ওসি মনিরুল ইসলাম জানান, "প্রাথমিক তদন্তে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে প্রমাণ পাওয়া গেছে। তদন্ত শেষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।"

অন্যদিকে অভিযুক্ত এএসআই সেলিম অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
সূত্র: সমকাল