রাজনৈতিক দল হিসেবে বাতিল হওয়া নিবন্ধন ফিরে পেতে জামায়াতে ইসলামীর পক্ষে আপিল শুনানি শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার (১৩ মে) সকাল ১০টা থেকে প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন সাত বিচারপতির পূর্ণাঙ্গ আপিল বেঞ্চে এই শুনানি শুরু হয়।
জামায়াতের পক্ষে শুনানি করছেন ব্যারিস্টার এহসান আবদুল্লাহ সিদ্দিক। তাঁকে সহযোগিতা করছেন ব্যারিস্টার ইমরান আবদুল্লাহ সিদ্দিক, অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির এবং ব্যারিস্টার নাজিব মোমেন। আদালত কক্ষে জামায়াতে ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা এ টি এম মাছুম, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল অ্যাডভোকেট এহসানুল মাহবুব জোবায়ের এবং অ্যাডভোকেট মোয়াজ্জেম হোসেন হেলাল উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে ৭ মে, রাজনৈতিক দল হিসেবে জামায়াতের নিবন্ধন ও প্রতীক ফিরে পাওয়ার বিষয়ে আপিল শুনানির জন্য ১৩ মে দিন ধার্য করে আপিল বিভাগ। তারও আগে, চলতি বছরের ১২ মার্চ আপিল শুনানি শুরু হলেও তা স্থগিত হয়ে যায়। প্রায় ছয় মাস আগে, ২০২৩ সালের ২২ অক্টোবর, জামায়াতে ইসলামীর খারিজ হওয়া আপিল পুনরুজ্জীবিত করার আদেশ দেন দেশের সর্বোচ্চ আদালত। এর ফলে দলটির নিবন্ধন ও প্রতীক ‘দাঁড়িপাল্লা’ ফিরে পাওয়ার আইনি লড়াইয়ের পথ উন্মুক্ত হয়।
২০০৮ সালে নির্বাচন কমিশনের দেওয়া নিবন্ধনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়। ২০১৩ সালে আদালত রায় দেয়, জামায়াতে ইসলামীর দলীয় গঠনতন্ত্র ও কার্যক্রম বাংলাদেশের সংবিধান ও নির্বাচনী আইনের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। এরপর নির্বাচন কমিশন দলটির নিবন্ধন বাতিল করে। জামায়াত এ সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল করলেও তা খারিজ হয়ে যায়। পরবর্তীতে সেই আপিল পুনরুজ্জীবিত করে বর্তমান শুনানির ভিত্তি তৈরি হয়।
বর্তমানে দলটি নিবন্ধন ফিরে পাওয়ার লক্ষ্যে সর্বোচ্চ আদালতের শরণাপন্ন হয়ে আইনি লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে। শুনানির ফলাফলের দিকেই এখন নজর রাজনৈতিক মহল ও বিশ্লেষকদের।
যুক্তরাষ্ট্র ভিয়েতনামকে ছাড় দিতে রাজি হয়েছে, কিন্তু আমাদের সঙ্গে ঘাটতি খুবই ছোট- বাণিজ্য উপদেষ্টা
যারা সংস্কার পিছিয়ে দিতে চায় তারাই নির্বাচন পেছাতে চায়: হাসনাত
সানেম'র জরিপ রিপোর্ট অনুযায়ী বিএনপি ৩৯, জামায়াত ২২, এনসিপি ১৬ ভাগ ভোট পাবে
কুমিল্লা অঞ্চলের ১৬ আসনে খেলাফত মজলিসের সম্ভাব্য প্রার্থীদের নাম প্রকাশ