পাসপোর্ট সেবায় হয়রানি কমাতে বড় ধরনের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এখন থেকে নতুন পাসপোর্ট আবেদন, দেশে ও বিদেশে পাসপোর্ট রি-ইস্যু আবেদন, ভিসা আবেদনসহ পাসপোর্ট ও ভিসা–কেন্দ্রিক সব ধরনের আবেদন নির্ভুল ও সহজভাবে পূরণের জন্য এজেন্সি বা ভেন্ডর নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে। এসব ভেন্ডর নির্দিষ্ট ফি নিয়ে গ্রাহকের আবেদন ফরম পূরণে সহযোগিতা করবে এবং সংশ্লিষ্ট পাসপোর্ট অফিসের আশপাশে অফিস স্থাপন করে সেবা দেবে।
তবে পরিষ্কারভাবে জানানো হয়েছে, কোনো ভেন্ডর গ্রাহকের কাছ থেকে অতিরিক্ত টাকা নিলে বা প্রতারণা করলে তার লাইসেন্স বাতিল করা হবে। মূল লক্ষ্য— গ্রাহকদের হয়রানি কমানো এবং পাসপোর্ট সেবাকে সহজ ও দ্রুতগতির করা। ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তর (ডিআইপি) জানিয়েছে, ইতোমধ্যে পাসপোর্টের অনলাইন সেবা আরও সহজ করা হয়েছে। আবেদনকারীরা ঘরে বসেই আবেদন জমা ও ফি পরিশোধ করতে পারছেন। শুধু ছবি তোলা, চোখের আইরিশ স্ক্যান এবং আঙুলের ছাপ দিতে একবার পাসপোর্ট অফিসে যেতে হবে।
সরকার আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েছে— এখন থেকে পাসপোর্ট পেতে আর পুলিশের ভেরিফিকেশন লাগবে না। জাতীয় পরিচয়পত্র (NID) বা জন্মনিবন্ধন সনদের তথ্যের ভিত্তিতেই পাসপোর্ট ইস্যু করা হচ্ছে। এ বিষয়ে চলতি বছরের ১৮ ফেব্রুয়ারি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগ থেকে একটি পরিপত্র জারি করা হয়েছে। এতে বলা হয়, যারা নতুন পাসপোর্টের জন্য আবেদন করবেন, তাদের জন্য অনলাইনে যাচাইকৃত জাতীয় পরিচয়পত্র বা জন্মনিবন্ধন সনদই যথেষ্ট।
বিদেশে থাকা বাংলাদেশি নাগরিক এবং অপ্রাপ্তবয়স্কদের ক্ষেত্রেও একই নিয়ম প্রযোজ্য। পাসপোর্ট পুনঃইস্যুর সময় যদি মৌলিক তথ্য পরিবর্তন করতে হয়, তখন জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্য অনুসরণ করা হবে।
সরকার বলছে, এসব পদক্ষেপ পাসপোর্ট সেবা সহজ করার জন্য নেওয়া হয়েছে, যাতে নাগরিকেরা দ্রুততম সময়ের মধ্যে তাদের পাসপোর্ট পেতে পারেন। অতীতে পুলিশ ভেরিফিকেশনের কারণে পাসপোর্ট ডেলিভারিতে দেরি হতো এবং সেবাপ্রার্থীদের ভোগান্তি বাড়ত। এখন সুপার এক্সপ্রেস সার্ভিসের আওতায় ২৪ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে নতুন পাসপোর্ট ইস্যু করা সম্ভব হচ্ছে।
ডিআইপির এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, পাসপোর্ট করা নাগরিকের মৌলিক অধিকার। তাই আবেদন প্রক্রিয়া যতটা সম্ভব সহজ ও হয়রানিমুক্ত করা হচ্ছে। নতুন এজেন্সি ব্যবস্থা চালু হলে গ্রাহকরা নির্ধারিত মূল্যের বিনিময়ে পেশাদার সেবা পাবেন এবং পাসপোর্ট অফিসে দালালের দৌরাত্ম্য কমবে বলেও আশা করা হচ্ছে।
চূড়ান্ত লক্ষ্য হচ্ছে— হয়রানিমুক্ত, স্বচ্ছ ও দ্রুতগতির পাসপোর্ট সেবা নিশ্চিত করা।
সংগৃহিত প্রতিবেদন
এবার নতুন কৌশলে মাঠে নামছে আ.লীগ
‘নিউজ অ্যারেনার প্রতিবেদন মিথ্যা’ — আইন উপদেষ্টা নিয়ে স্পষ্ট করল মন্ত্রণালয়
‘১৫ বছর কথা বলতে না পারায় এখন আন্দোলন’ — শিক্ষা উপদেষ্টা
ড. ইউনূসের সঙ্গে কাতার প্রধানমন্ত্রীর বৈঠক, উন্নয়নে সহায়তার আশ্বাস
মন্তব্য করুন
আপনার ইমেল প্রকাশ করা হবে না