বাগেরহাটের ফকিরহাট উপজেলায় বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের এক মানববন্ধনে ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দেওয়ায় রাজনৈতিক অঙ্গনে শুরু হয়েছে ব্যাপক আলোচনা ও সমালোচনা।
শনিবার (১১ মে) ফকিরহাটের কাটাখালি চত্বরে অনুষ্ঠিত এ মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক কামরুল ইসলাম গোরা সহ গ্রুপের নেতাকর্মীরা। অনুষ্ঠানে বক্তব্যের একপর্যায়ে জেলা মহিলা দলের সদস্য অ্যাডভোকেট হেনা তার বক্তব্য শেষ করেন ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দিয়ে।
বিষয়টি নিয়ে জেলার রাজনৈতিক অঙ্গনে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। বিএনপিরই একাংশ থেকে অভিযোগ উঠেছে,
"গোরা আওয়ামী লীগের লোকজনকে ব্যবহার করে বিএনপির ব্যানারে কর্মসূচি চালাচ্ছেন।"
এর আগে ৯ মে দলীয় ওয়ার্ড কমিটির নির্বাচন ঘিরে কামরুল ইসলাম গোরা ও ইফতেখার আহমেদ পলাশ সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে দুই পক্ষের ২০-২৫ জন আহত হন। কয়েকজন এখনও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
শনিবারের মানববন্ধনে ও সংবাদ সম্মেলনে পলাশ দাবি করেন:
“শুভদিয়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান এম এ আওয়াল ও বেতাগার আরিফ মেম্বার আওয়ামী সন্ত্রাসীদের নিয়ে অতর্কিত হামলা চালায়। এমনকি পুলিশের সদস্যরাও এতে আহত হন। একপর্যায়ে পুলিশ সুপারের নির্দেশে অতিরিক্ত পুলিশ এসে আমাদের উদ্ধার করে।”
‘জয় বাংলা’ স্লোগানের বিষয়ে পলাশ বলেন,
“কামরুল ইসলাম গোরা জয় বাংলার লোক দিয়ে বিএনপির মানববন্ধন করেছেন। আওয়ামী লীগের লোকদের পুনর্বাসন করছেন তিনি। সেই স্লোগানই তার প্রমাণ।”
এ বিষয়ে কামরুল ইসলাম গোরার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তার মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
এই ঘটনায় স্পষ্ট হয়ে উঠছে যে, স্থানীয় পর্যায়ে বিএনপির অভ্যন্তরীণ কোন্দল তীব্র আকার ধারণ করেছে। এতে করে দলীয় শৃঙ্খলা ও আদর্শের প্রশ্নে নতুন করে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্র ভিয়েতনামকে ছাড় দিতে রাজি হয়েছে, কিন্তু আমাদের সঙ্গে ঘাটতি খুবই ছোট- বাণিজ্য উপদেষ্টা
যারা সংস্কার পিছিয়ে দিতে চায় তারাই নির্বাচন পেছাতে চায়: হাসনাত
সানেম'র জরিপ রিপোর্ট অনুযায়ী বিএনপি ৩৯, জামায়াত ২২, এনসিপি ১৬ ভাগ ভোট পাবে
কুমিল্লা অঞ্চলের ১৬ আসনে খেলাফত মজলিসের সম্ভাব্য প্রার্থীদের নাম প্রকাশ