ধার করে বড় বড় মেগা প্রকল্প বাস্তবায়ন থেকে সরে আসার ঘোষণা দিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেছেন, সরকারের লক্ষ্য এখন বাস্তবসম্মত বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) বাস্তবায়ন, যেখানে অপ্রয়োজনীয় ঋণনির্ভরতা পরিহার করা হবে।
মঙ্গলবার (১৩ মে) সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, "বাজেটে কিছুটা ঘাটতি তো থাকবেই। কিন্তু ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে বা টাকা ছাপিয়ে আমরা বাজেট বাস্তবায়ন করতে যাব না।"
২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেট চলতি বছরের তুলনায় আকারে ছোট হবে কি না—সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের সরাসরি জবাব না দিয়ে তিনি জানান, বাজেটের চূড়ান্ত রূপ সময় হলে জানা যাবে। তবে তিনি আশ্বস্ত করেন, "বাজেট বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে বড় ধরনের গ্যাপ বা ঘাটতি রেখে আমরা করব না।"
জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) বিভক্ত করার কারণে রাজস্ব আদায়ে কোনো প্রভাব পড়বে কি না—এই বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, “এ পর্যন্ত রাজস্ব আদায় গত বছরের তুলনায় ২ শতাংশ বেশি হয়েছে। এটা হতাশাব্যঞ্জক নয়, বরং আশা জাগানিয়া। আমি আরও ভালো ফল আশা করছি। অন্তত গত বছরের তুলনায় কম হবে না।”
তিনি আরও বলেন, এনবিআর কর্মকর্তাদের স্বার্থ সম্পূর্ণরূপে সংরক্ষিত রেখেই নীতিগত বিভাজনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। "নীতি বিভাগ একটি ছোট বিষয়। এনবিআরকে দুশ্চিন্তা করার কিছু নেই। আন্তর্জাতিক চর্চা অনুযায়ীও নীতি নির্ধারণ ও প্রয়োগ বিভাগ আলাদা রাখা হয়। টার্মস অব রেফারেন্স অনুযায়ী এনবিআরের কাঠামো অপরিবর্তিত থাকবে।"
বৈঠকে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের ১২টি ক্রয় প্রস্তাব উপস্থাপন করা হলে, এর মধ্যে ১০টি অনুমোদন দেওয়া হয়। উল্লেখযোগ্য প্রস্তাবগুলোর মধ্যে রয়েছে সিঙ্গাপুরের গানভর কোম্পানির কাছ থেকে এক কার্গো এলএনজি আমদানি এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাব অনুযায়ী ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) জন্য ১৬১ টাকা লিটার দরে এক কোটি ১০ লাখ লিটার রাইস ব্র্যান অয়েল ক্রয়।
সূত্র:নয়াদিগন্ত