‘পাকিস্তানের সঙ্গে যুদ্ধে ভারতের পরাজয় নিশ্চিত’—এমন মন্তব্য করে বিতর্কের কেন্দ্রে ছত্তিশগড়ের সাবেক কংগ্রেস বিধায়ক ইউডি মিঞ্জকে। ২৬ এপ্রিল পহেলগাম হামলার পর তাঁর ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে এই বিতর্কিত পোস্ট শেয়ার করা হয়, যা পরে মুছে ফেলা হলেও এর স্ক্রিনশট ইতোমধ্যে ভাইরাল হয়ে গেছে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস নিশ্চিত করেছে, জম্মু ও কাশ্মিরের পেহেলগামে হামলার প্রেক্ষাপটে এই পোস্টে ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনার মাঝে চীনকেও জড়িয়ে যুদ্ধ পরিস্থিতি আশঙ্কার কথা বলা হয়েছিল।
উক্ত পোস্টে লেখা ছিল,
“যারা পাকিস্তানের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চাইছেন, তারা জানুন—ভারতকে এবার চীনের সঙ্গেও লড়তে হবে। এমন পরিস্থিতিতে ভারতের পরাজয় অনিবার্য।”
পোস্টে আরও দাবি করা হয়,
“চীন ইতোমধ্যে পাকিস্তানের কয়েকটি অঞ্চলে বিনিয়োগ করেছে। ভারত যদি ওই এলাকাগুলোতে হামলা চালায়, তাহলে চীন সরাসরি পাকিস্তানের পাশে দাঁড়াবে।”
এছাড়া, লেখায় ভারতীয় অর্থনীতির দুর্বলতার কথা উল্লেখ করে বলা হয়,
“দেশে বেকারত্ব গত ৪৫ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে। যুদ্ধ হবে আত্মঘাতী এবং সাধারণ মানুষের ওপর বোঝা হয়ে দাঁড়াবে।”
সবশেষে পোস্টে বলা হয়,
“যুদ্ধের সমর্থক ভারতীয়দের ‘অগ্নিবীর’ বানিয়ে সীমান্তে পাঠানো উচিত।”
সাবেক এই কংগ্রেস নেতার পোস্টটি সামনে আসতেই ছত্তিশগড়ের শাসক দল বিজেপি তীব্র প্রতিক্রিয়া জানায়। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বিষ্ণু দেও সাইয়ের মিডিয়া উপদেষ্টা পঙ্কজ ঝা বলেন,
“এই পোস্ট প্রমাণ করে, প্রায় প্রতিটি কংগ্রেস কর্মী বিশ্বাসঘাতক। তারা কখন আপনাকে বোকা বানাবে, তা আপনি বুঝতেই পারবেন না।”
বিতর্ক ছড়ানোর পর ইউডি মিঞ্জ দাবি করেন, তাঁর ফেসবুক অ্যাকাউন্ট হ্যাক হয়েছিল এবং পোস্টটি তিনিই দেননি। তবে এই ব্যাখ্যা বিজেপিকে সন্তুষ্ট করতে পারেনি।
তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বিলুপ্তির রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি প্রকাশ
বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে কাল যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ বৈঠক
ইরানের প্রেসিডেন্টের দাবি, ইসরায়েল তাকে ‘হত্যার’ চেষ্টা করেছে
খাদ্যের জন্য মৃত্যুকে উপেক্ষা করে গাজায় ক্ষুধার্ত নারী-পুরুষ-শিশুর লড়াই