ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র হিসেবে বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনকে শপথ দেওয়া হবে কিনা, তা এখন নির্ভর করছে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সিদ্ধান্তের ওপর। দেশের সর্বোচ্চ আদালত – আপিল বিভাগের ৭ বিচারপতির পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ, প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে – বৃহস্পতিবার এই গুরুত্বপূর্ণ পর্যবেক্ষণ দিয়েছেন।
বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনকে ডিএসসিসির মেয়র হিসেবে ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ ও শপথ গ্রহণের বৈধতা নিয়ে চলমান আইনি লড়াইয়ে নতুন মোড় এসেছে।
গত ২৬ মে এক রিটের মাধ্যমে দাবি করা হয়, ইশরাকের শপথগ্রহণ রোধে নির্দেশনা দেওয়া হোক। তবে এ রিট হাইকোর্ট খারিজ করে। এই খারিজ আদেশের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে লিভ টু আপিল (আপিলের অনুমতি) চাওয়া হলে আদালত তা সরাসরি খারিজ না করে শুনানির জন্য সময় নির্ধারণ করে এবং বিষয়টি নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্তের ওপর ছেড়ে দেয়।
আদালতের নির্দেশনার সারাংশ:
ইশরাক হোসেন ২০২০ সালের ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে বিএনপির মেয়র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। নির্বাচন শেষে ফলাফল ও শপথগ্রহণ নিয়ে কিছু আইনি জটিলতা দেখা দেয়, যার ধারাবাহিকতায় আজকের এই পর্যায় এসেছে। নতুন করে অন্তর্বর্তী পরিস্থিতিতে এই পুরনো ইস্যুটি আবার সামনে এসেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
আইনগতভাবে, এখন পর্যন্ত ইশরাকের শপথ গ্রহণে সরাসরি কোনো নিষেধাজ্ঞা নেই।রাজনৈতিকভাবে, অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে এমন একটি ইস্যু সামনে আসা বিএনপির জন্য একটি কৌশলগত সুযোগ বা চ্যালেঞ্জ – দুই রকমই হতে পারে।প্রশাসনিকভাবে, নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্তই এখন মুখ্য। তারা গেজেট জারি ও শপথ নিয়ে কী সিদ্ধান্ত নেয়, তার ওপর নির্ভর করছে ইশরাকের ভবিষ্যৎ ভূমিকা।
সুপ্রিম কোর্টের সর্বোচ্চ বেঞ্চ বিষয়টি সরাসরি নিষ্পত্তি না করে নির্বাচন কমিশনের উপর ছেড়ে দেওয়ায় এটি এখন একটি প্রশাসনিক সিদ্ধান্তে পরিণত হয়েছে। ইশরাক হোসেনকে শপথ গ্রহণ করতে দেওয়া হবে কিনা – এই সিদ্ধান্তের মাধ্যমে নির্বাচন কমিশনের নিরপেক্ষতা, রাজনৈতিক প্রজ্ঞা এবং বর্তমান অন্তর্বর্তী সময়ে এর অবস্থানও অনেকাংশে প্রতিফলিত হবে।
৫ আগস্ট যাত্রাবাড়ীতে পুলিশের নির্বিচার গুলিতে কমপক্ষে ৫২ জন নিহত হন বলে বিবিসি আই- এর একটি অনুসন্ধানে উঠে এসেছে
গণহত্যার মামলায় শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের আদেশ ১০ জুলাই
শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গঠনে দ্বিতীয় দিনের শুনানি আজ
আদালত অবমাননার মামলা: শেখ হাসিনার ৬ মাসের কারাদণ্ড