কাশ্মীরের পেহেলগামে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলায় ২৬ জন নিহত হওয়ার পর ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে চলমান উত্তেজনা চরমে পৌঁছেছে। এরই মধ্যে পাকিস্তানের সেনাবাহিনী ভারতের যেকোনো সামরিক আগ্রাসনের বিরুদ্ধে কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছে।
বুধবার প্রকাশিত ‘দ্য নিউজ ইন্টারন্যাশনাল’–এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়, পাকিস্তান সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে স্পষ্টভাবে জানানো হয়েছে, “আমরা প্রস্তুত, আমাদের পরীক্ষা নিও না।”
আইএসপিআর–এর মহাপরিচালক লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহমেদ শরীফ চৌধুরী বলেন,
“আমরা আগ্রাসন শুরু করতে চাই না, কারণ আমরা একটি দায়িত্বশীল রাষ্ট্র। তবে যদি কেউ মনে করে আগ্রাসনই এগিয়ে যাওয়ার পথ, তাহলে জানিয়ে রাখি—আমরা সব রকম প্রস্তুত।”
তিনি জানান, পাকিস্তানের সশস্ত্র বাহিনী—বিমান, নৌ ও স্থল—সবাই সর্বোচ্চ সতর্কতায় রয়েছে। দেশের সার্বভৌমত্ব ও অখণ্ডতা রক্ষায় জাতি ঐক্যবদ্ধ এবং জাতীয় নিরাপত্তা কমিটিও এই বিষয়ে ইতোমধ্যে বিবৃতি দিয়েছে।
এদিকে কাশ্মীর সীমান্তে লাইন অব কন্ট্রোল (LOC) বরাবর ২৯ ও ৩০ এপ্রিল রাতে তীব্র গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। পাকিস্তান সেনাবাহিনীর দাবি, ভারতীয় বাহিনী বিনা উসকানিতে গুলিবর্ষণ করলে, তারা পাল্টা জবাব দেয়। এতে ভারতীয় বাহিনীর চকপুত্র পোস্ট ও একাধিক বাঙ্কার ধ্বংস হয়।
‘জিও নিউজ’ জানিয়েছে, ভারত কিয়ানি ও মন্ডল সেক্টরে গুলি চালায়। এর জবাবে পাকিস্তান ‘উপযুক্ত ও পরিমিত প্রতিক্রিয়া’ দেয়। এই হামলাকে উচ্চমাত্রার প্রস্তুতির প্রমাণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।
পাকিস্তান সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, সীমান্তে ভারত ঘাঁটি খালি করছে এবং কাশ্মীরি মুসলমানদের বিরুদ্ধে দমন-পীড়ন চালাচ্ছে, যা নয়াদিল্লির একটি উসকানিমূলক ও অস্থিতিশীল মনোভাবের বহিঃপ্রকাশ।
এই পরিস্থিতিতে দুই পরমাণু শক্তিধর দেশের মধ্যে সামান্য ভুল বোঝাবুঝিও ভয়াবহ সংঘাতে রূপ নিতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন বিশ্লেষকেরা। জাতিসংঘ ইতিমধ্যেই উত্তেজনা প্রশমনে মধ্যস্থতার প্রস্তাব দিয়েছে।
তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বিলুপ্তির রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি প্রকাশ
বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে কাল যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ বৈঠক
ইরানের প্রেসিডেন্টের দাবি, ইসরায়েল তাকে ‘হত্যার’ চেষ্টা করেছে
খাদ্যের জন্য মৃত্যুকে উপেক্ষা করে গাজায় ক্ষুধার্ত নারী-পুরুষ-শিশুর লড়াই