জামায়াত নেতা এটিএম আজহারুল ইসলামের মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় মৃত্যুদণ্ডাদেশ থেকে খালাস পাওয়াকে কেন্দ্র করে সামাজিক ও রাজনৈতিক অঙ্গনে চলছে ব্যাপক আলোচনা। আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল এই রায়ের প্রেক্ষিতে গুরুত্বপূর্ণ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন।
তিনি নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে মন্তব্য করে বলেন—
“দণ্ডাদেশের বিরুদ্ধে তার (আজহারুল) করা রিভিউ সর্বসম্মতিতে মঞ্জুর করেছেন প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।”
তার মতে, এই রায়ের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের দেওয়া মৃত্যুদণ্ড এবং পরে আপিল বিভাগে সেটি বহাল রাখার রায়—দুইটিই বাতিল করা হলো। অর্থাৎ, এটিএম আজহারুল ইসলাম এখন এই মামলায় আইনগতভাবে নির্দোষ বিবেচিত।
এই রায়কে শুধু আইনি প্রক্রিয়ার সফলতা হিসেবে দেখেননি ড. নজরুল। তিনি বলেন—
“এই ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হওয়ার সুযোগ সৃষ্টির কৃতিত্ব জুলাই গণআন্দোলনের অকুতোভয় নেতৃত্বের।”
এই বক্তব্যে তিনি স্পষ্ট ইঙ্গিত দিয়েছেন যে, ২০২৪ সালের জুলাই মাসে ক্ষমতাসীন সরকারের পতন ঘটানো গণআন্দোলনের মাধ্যমেই এমন বিচারিক সাহস ও নিরপেক্ষতা সম্ভব হয়েছে।
তিনি আরও সতর্ক করে দেন—
“এই সুযোগকে রক্ষা করার দায়িত্ব এখন আমাদের সবার।”
অর্থাৎ, রায়ের মাধ্যমে যে ন্যায়বিচারের ধারা শুরু হয়েছে, তা যেন আবার চাপ ও প্রতিশোধের রাজনীতির মধ্যে হারিয়ে না যায়—এই বিষয়ে সচেতন থাকার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
এই মামলায় এটিএম আজহারুল ইসলামকে ২০১৪ সালে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল মৃত্যুদণ্ড দেয়, যা ২০১৯ সালে আপিল বিভাগে বহাল রাখা হয়। এরপর তার রিভিউ আবেদন পুনরায় শুনানির অনুমতি পায়, যা ছিল এই ধরনের মামলায় প্রথম। অবশেষে, ২০২৫ সালের ২৭ মে, প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন সাত সদস্যের বেঞ্চ সর্বসম্মতভাবে তাকে খালাস দেন।
এই রায় বাংলাদেশের বিচার ব্যবস্থায় এক যুগান্তকারী দৃষ্টান্ত হিসেবে দেখা হচ্ছে, যা বিচার প্রক্রিয়ায় রাজনৈতিক প্রভাব ও পক্ষপাতিত্বের বিরুদ্ধে একপ্রকার প্রতীকী বিজয় হিসেবেও বিশ্লেষণ করছেন অনেকেই।
৫ আগস্ট যাত্রাবাড়ীতে পুলিশের নির্বিচার গুলিতে কমপক্ষে ৫২ জন নিহত হন বলে বিবিসি আই- এর একটি অনুসন্ধানে উঠে এসেছে
গণহত্যার মামলায় শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের আদেশ ১০ জুলাই
শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গঠনে দ্বিতীয় দিনের শুনানি আজ
আদালত অবমাননার মামলা: শেখ হাসিনার ৬ মাসের কারাদণ্ড