বাংলাদেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে হঠাৎ করেই উত্তেজনা বাড়ছে। সর্বশেষ আলোচনার কেন্দ্রে উঠে এসেছে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও তার চারপাশের রাজনৈতিক হিসাব-নিকাশ। এই প্রেক্ষাপটে আলোড়ন তুলেছে অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট পিনাকী ভট্টাচার্যের এক ঘোষণামূলক বার্তা, যেখানে তিনি উল্লেখ করেছেন যে, দেশের প্রয়োজনে তিনি, ইলিয়াস ও কনক সরওয়ার একসঙ্গে দেশে ফিরতে প্রস্তুত।
২৩ মে ভোরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে পিনাকী লেখেন:
“দেশের জন্য যদি প্রয়োজন হয়, তবে প্রফেসর ইউনূসের পাশে দাঁড়ানোর জন্য পিনাকী-ইলিয়াস-কনক সরওয়ার একসাথে ঢাকা এয়ারপোর্টে ল্যান্ড করবেন।”
এই বার্তা রাজনৈতিক মহলে নতুন মাত্রা যোগ করেছে। দীর্ঘদিন ধরে প্রবাসে অবস্থানকারী এই তিনজনই বর্তমান সরকারের কঠোর সমালোচক হিসেবে পরিচিত। তাদের দেশে ফেরা শুধুমাত্র একটি প্রতীকী ঘোষণাই নয়, বরং একটি রাজনৈতিক বার্তা ও পাল্টা সাংঘর্ষিক প্রস্তুতির ইঙ্গিত বলেই মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
প্রসঙ্গত, ড. ইউনূসকে ঘিরে থাকা ‘অশুভ চক্র’ সম্পর্কে অজ্ঞাত সূত্রের তথ্য ইতিমধ্যেই সামাজিক মাধ্যমে ও রাজনৈতিক পরিমণ্ডলে আলোচনার কেন্দ্রে রয়েছে। এই চক্রের সদস্যরা সবাই উচ্চশিক্ষিত, তবে তাদের চরম দক্ষিণপন্থী রাজনীতির প্রতি ঝোঁক রয়েছে বলে দাবি করা হচ্ছে। অভিযোগ হচ্ছে, তারা দেশকে নির্বাচনমুখী করার পরিবর্তে একটি বিকল্প ও সংকীর্ণ রোডম্যাপে নিতে চায়—যা ইউনূসকে জনবিচ্ছিন্ন ও কোণঠাসা করে ফেলতে পারে।
এই পরিস্থিতির ভেতরেই একটি ‘জাতীয় সরকার গঠনের দৌড়ঝাঁপ’ চলছে বলে রাজনৈতিক সূত্রের দাবি। যদিও এই প্রক্রিয়া এখনও আনুষ্ঠানিক নয়, তবুও এটি যে কেবল গুঞ্জন নয়, তার ইঙ্গিত মিলেছে অন্তর্বর্তী সরকারের নীতিনির্ধারণী মহলে।
এমন একটি সরকার গঠন হলে তা গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার ধারাবাহিকতা রক্ষার বদলে নতুন এক জটিলতা ও কর্তৃত্ববাদী বাস্তবতার জন্ম দিতে পারে, এমন শঙ্কাও রয়েছে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন,
“প্রফেসর ইউনূসের পদত্যাগ মানেই সংকটের অবসান নয়। বরং সেটি একটি নতুন, আরও গভীর রাজনৈতিক শূন্যতার সৃষ্টি করবে।”
তারা মনে করছেন, যদি পিনাকী-ইলিয়াস-কনক সরাসরি দেশে ফেরার মতো সিদ্ধান্ত নেন, তবে তা কেবল একটি প্রতীকী দৃশ্যই হবে না, বরং একটি বড় ধরনের জনমত ও রাজনৈতিক পুনঃসক্রিয়তা তৈরির চেষ্টা হিসেবে কাজ করতে পারে। এটি হতে পারে ডায়াসপোরা-ভিত্তিক চাপ সৃষ্টির একটি কৌশল।
দেশ এখন একটি নতুন মোড়ে এসে দাঁড়িয়েছে, যেখানে রাষ্ট্রীয় কাঠামো, বিপ্লবের চেতনা, এবং অভ্যন্তরীণ-বহিরাগত শক্তির দ্বন্দ্ব একসাথে কাজ করছে। এই প্রেক্ষাপটে একদিকে রয়েছে ইউনূসকে ঘিরে রহস্য ও ষড়যন্ত্রের সমীকরণ, অন্যদিকে ‘দেশের প্রয়োজনে’ স্বেচ্ছা প্রত্যাবর্তনের ইঙ্গিত। সামনের দিনগুলোতে বাংলাদেশের রাজনীতিতে নাটকীয় ও দ্রুত পরিবর্তন দেখা যেতে পারে।
যুক্তরাষ্ট্র ভিয়েতনামকে ছাড় দিতে রাজি হয়েছে, কিন্তু আমাদের সঙ্গে ঘাটতি খুবই ছোট- বাণিজ্য উপদেষ্টা
যারা সংস্কার পিছিয়ে দিতে চায় তারাই নির্বাচন পেছাতে চায়: হাসনাত
সানেম'র জরিপ রিপোর্ট অনুযায়ী বিএনপি ৩৯, জামায়াত ২২, এনসিপি ১৬ ভাগ ভোট পাবে
কুমিল্লা অঞ্চলের ১৬ আসনে খেলাফত মজলিসের সম্ভাব্য প্রার্থীদের নাম প্রকাশ