ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষার্থী শাহরিয়ার আলম সাম্য হত্যাকাণ্ডের পর সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ঘিরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও সংশ্লিষ্ট সরকারি সংস্থাগুলোর মধ্যে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। ছাত্রদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে উদ্যানের বর্তমান অব্যবস্থাপনা রোধে গৃহীত হয়েছে কঠোর পদক্ষেপ।
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় এবং যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বুধবার তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পোস্টে জানান, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানকে এক আতঙ্কের স্থান থেকে ধীরে ধীরে নিরাপদ ও স্বস্তিদায়ক জায়গায় পরিণত করতে প্রশাসনিক ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সমন্বয়ে উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।
গৃহীত সিদ্ধান্তগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য:
সরকার আশাবাদ ব্যক্ত করেছে, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও শিক্ষার্থীদের সহযোগিতায় এসব উদ্যোগ দ্রুত বাস্তবায়ন সম্ভব হবে।
তদন্ত ও বিচারিক অগ্রগতি
সাম্য হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ইতোমধ্যে তিন জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মামলাটি গুরুত্ব সহকারে তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
এদিকে, ঢাবি প্রশাসন কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. ছিদ্দিকুর রহমান খানকে আহ্বায়ক করে সাত সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। এই কমিটিকে তিন কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কমিটিতে আইন, সামাজিক বিজ্ঞান ও ফারসি বিভাগের ডিন ও শিক্ষকরা ছাড়াও সহকারী প্রক্টর ও ডেপুটি রেজিস্ট্রার রয়েছেন।
সাম্য হত্যার ঘটনাটি শুধু বিশ্ববিদ্যালয় নয়, পুরো জাতির নিরাপত্তা সচেতনতায় একটি বড় ধাক্কা হয়ে দেখা দিয়েছে। প্রশাসনের এসব পদক্ষেপের বাস্তবায়নই নির্ধারণ করবে ভবিষ্যতে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা কতটা নিশ্চিত হয়।