লন্ডনে চার মাস চিকিৎসা শেষে কাতারে আমিরের দেয়া বিশেষ বিমান এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে ঢাকা পৌঁছেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। মঙ্গলবার (৬ মে) সকাল ১০টা ৪২ মিনিটে তিনি হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর পৌঁছান।
খালেদা জিয়ার সাথে তার দুই পুত্রবধূ ডা: জুবাইদা রহমান ও সৈয়দা শর্মিলা রহমান সিঁথি দেশে আসছেন। বেলা সোয়া ১১টার দিকে বিশেষ প্রক্রিয়া ইমিগ্রেশন শেষে বিমানবন্দর থেকে গুলশানের বাসভবনে ফিরোজার উদ্দেশে রওয়ানা দেন তারা।
এদিকে বিমানবন্দর থেকে খালেদা জিয়ার বাসভবন পর্যন্ত রাস্তায় বিএনপির হাজার হাজার নেতা–কর্মীদের ঢল নেমেছে। নেতা–কর্মীরা রাস্তার দুই পাশে দাঁড়িয়ে বিভিন্ন স্লোগান দিয়ে তাদের নেত্রীকে স্বাগত ও অভ্যর্থনা জানাচ্ছেন। পথে পথে নেতা-কর্মীদের শুভেচ্ছা ও ভালোবাসায় সিক্ত হন খালেদা জিয়া।
বিমানবন্দরে খালেদা জিয়া পৌঁছালে তাকে স্বাগত জানান বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ সিনিয়র নেতারা।
এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন- বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী, মিডিয়া সেলের সদস্য আতিকুর রহমান রুম্মন, যুবদলের সভাপতি আব্দুল মোনায়েম মুন্না, সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম নয়ন, ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিন নাছির প্রমুখ।
বিমানবন্দরে খালেদা জিয়ার আগমন ঘিরে নেয়া হয় বিশেষ নিরাপত্তাব্যবস্থা। বিমানবন্দরের বাইরে নিরাপত্তায় এয়ারপোর্ট আর্মড পুলিশের পাশাপাশি ছিল র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব), ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি), ডিবি ও সোয়াটের মতো স্পেশাল টিমের সদস্যরা। এছাড়া অন্যান্য সংস্থার সদস্যরাও নিজ নিজ দায়িত্বে ছিলেন। বিশেষ প্রক্রিয়ায় আগেই খালেদা জিয়ার ইমিগ্রেশন সম্পন্ন করা হয়।
দলের চেয়ারপারসনকে অভ্যর্ধনা জানাতে সকাল থেকেই বিমানবন্দর সড়কের দুই পাশে অবস্থান নেন বিএনপির হাজার হাজার নেতা–কর্মী। সড়কের দুই পাশে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ও উত্তর বিএনপির নেতাকর্মীরাসহ বিভিন্ন অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা হাতে ব্যানার ও ফেস্টুন এবং প্ল্যাকার্ড নিয়ে অপেক্ষা করছেন এবং স্লোগান দিচ্ছেন।
সরেজমিনে দেখা গেছে, বিমানবন্দর থেকে গুলশানে খালেদা জিয়ার বাসভবন ফিরোজা পর্যন্ত পুরো রাস্তা জুড়েই হাজারো নেতা-কর্মীর মানবঢাল তৈরি করেছে। বিমানবন্দর থেকে লো মেরিডিয়েন হোটেল পর্যন্ত ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপি, লো-মেরিডিয়েন হোটেল থেকে খিলক্ষেত পর্যন্ত ছাত্রদল, যুবদলের নেতাকর্মীরা খিলক্ষেত থেকে হোটেল র্যাডিসন পর্যন্ত, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপি হোটেল র্যাডিসন থেকে আর্মি স্টেডিয়াম পর্যন্ত, স্বেচ্ছাসেবক দল আর্মি স্টেডিয়াম থেকে বনানী কবরস্থান পর্যন্ত, কৃষক দল বনানী কবরস্থান থেকে কাকলী মোড় পর্যন্ত, শ্রমিক দল কাকলী মোড় থেকে বনানীর শেরাটন হোটেল পর্যন্ত এবং ওলামা দল, তাঁতীদল, জাসাস, মৎস্যজীবী দল অবস্থান করবে শেরাটন হোটেল থেকে বনানী কাঁচাবাজার পর্যন্ত সংগঠনের হাজার হাজার নেতাকর্মী নেত্রীকে দলীয় ও জাতীয় পতাকা হাতে নিয়ে স্বাগত জানাচ্ছেন। বিভিন্ন স্লোগান দিয়ে পুরো এলাকা প্রকম্পিত করে তোলেন তারা।
অভ্যর্থনা জানানোর সময় জনদুর্ভোগ এড়াতে বিএনপি এবং এর সব অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা–কর্মীদের আগেই বিশেষ নির্দেশনা দেয়া হয়েছিল। তবে তাতেও দুর্ভোগ পুরোপুরি এড়ানো যায়নি। বিএনপির নেতা–কর্মীদের সুশৃঙ্খলভাবে সড়কের ফুটপাতে দাঁড়িয়ে খালেদা জিয়াকে অভ্যর্থনা জানানোর জন্য অনুরোধ করা হয়েছিল। কিন্তু নেতা–কর্মীদের অনেকে রাস্তায় নেমে আসেন।
নেতাকর্মীদের আশা, খালেদা জিয়ার রাজনীতিতে ফিরতে কোনো বাধা নেই। তাই দলীয় প্রধান দ্রুতই রাজনীতি ফিরে আসবেন এবং আগামী নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবেন।
সূত্র: নয়া দিগন্ত
যুক্তরাষ্ট্র ভিয়েতনামকে ছাড় দিতে রাজি হয়েছে, কিন্তু আমাদের সঙ্গে ঘাটতি খুবই ছোট- বাণিজ্য উপদেষ্টা
যারা সংস্কার পিছিয়ে দিতে চায় তারাই নির্বাচন পেছাতে চায়: হাসনাত
সানেম'র জরিপ রিপোর্ট অনুযায়ী বিএনপি ৩৯, জামায়াত ২২, এনসিপি ১৬ ভাগ ভোট পাবে
কুমিল্লা অঞ্চলের ১৬ আসনে খেলাফত মজলিসের সম্ভাব্য প্রার্থীদের নাম প্রকাশ