পেহেলগামের হামলার প্রতিশোধ হিসেবে ভারতের বিমান হামলায় পাকিস্তানে ৩১ জন নিহত ও অন্তত ৫০ জন আহত হওয়ার পর, ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে যুদ্ধপরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। এমন উত্তেজনাপূর্ণ প্রেক্ষাপটে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ান।
শুক্রবার (৯ মে) এক্স (সাবেক টুইটার)–এ দেওয়া পোস্টে তিনি বলেন, “আমরা উদ্বিগ্ন যে পাকিস্তান ও ভারতের মধ্যে উত্তেজনা প্রকাশ্য সংঘাতে পরিণত হতে পারে।”
পাকিস্তানের প্রতি সমর্থন জানিয়ে এরদোয়ান বলেন, “আমি আমাদের প্রাণ হারানো ভাইদের জন্য আল্লাহর রহমত কামনা করছি এবং পাকিস্তানের জনগণ ও সরকারের প্রতি আমার সমবেদনা জানাচ্ছি।” তিনি আরও জানান, পরিস্থিতি নিয়ে তিনি পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফের সঙ্গে টেলিফোনে আলোচনা করেছেন।
কাশ্মীরে সন্ত্রাসী হামলার একটি আন্তর্জাতিক তদন্ত চেয়ে পাকিস্তানের প্রস্তাবকে "মূল্যবান পদক্ষেপ" হিসেবে উল্লেখ করেন তুর্কি প্রেসিডেন্ট। তিনি বলেন, “সংঘাত এমন এক পর্যায়ে পৌঁছাতে পারে যেখান থেকে আর ফিরে আসার উপায় থাকবে না। তাই উত্তেজনা কমাতে এবং সংলাপের পথ খোলার জন্য তুরস্ক যথাসাধ্য চেষ্টা করছে।”
এদিকে ইসলামাবাদের দাবি, মঙ্গলবার মধ্যরাতে ভারতের যুদ্ধবিমান পাকিস্তানের পাঞ্জাব ও আজাদ কাশ্মীরের অন্তত ছয়টি স্থানে হামলা চালায়। এতে শিশুসহ ৩১ জন বেসামরিক নিহত এবং ৫৭ জন আহত হন। হামলার লক্ষ্যবস্তু ছিল মসজিদ, জলবিদ্যুৎ প্রকল্প, বেসামরিক বসতি ইত্যাদি।
জবাবে পাকিস্তানের সশস্ত্র বাহিনী পাঁচটি ভারতীয় যুদ্ধবিমান এবং সাতটি ড্রোন ভূপাতিত করেছে বলে দাবি করে। পাশাপাশি, নিয়ন্ত্রণ রেখা (এলওসি) বরাবর একটি ব্রিগেড সদর দপ্তর ও একাধিক চেকপোস্ট ধ্বংস করার কথাও জানায় ইসলামাবাদ।
এর আগে, ভারতকে সতর্ক করে পাকিস্তান জানিয়েছিল, তাদের যেকোনো আগ্রাসনের জবাব হবে নির্ণায়ক ও তীব্র, যা গোটা বিশ্বে প্রতিধ্বনি তুলবে।
সূত্র: জিও নিউজ
তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বিলুপ্তির রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি প্রকাশ
বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে কাল যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ বৈঠক
ইরানের প্রেসিডেন্টের দাবি, ইসরায়েল তাকে ‘হত্যার’ চেষ্টা করেছে
খাদ্যের জন্য মৃত্যুকে উপেক্ষা করে গাজায় ক্ষুধার্ত নারী-পুরুষ-শিশুর লড়াই