বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর দলীয় নিবন্ধন ও ঐতিহ্যবাহী প্রতীক ‘দাঁড়িপাল্লা’ ফিরিয়ে দিতে যাচ্ছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। একইসঙ্গে ৩১টি নতুন প্রতীক যুক্ত করে তফসিলভুক্ত প্রতীকের সংখ্যা ১০০-তে উন্নীত করার পরিকল্পনা নিয়েছে কমিশন। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এ পদক্ষেপের মাধ্যমে নতুন দল ও স্বতন্ত্র প্রার্থীদের প্রতীক বরাদ্দের ক্ষেত্রে দীর্ঘদিনের জটিলতা কাটবে।
দাঁড়িপাল্লা ফিরে পাবে জামায়াত
২০১৩ সালে তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকারের সময় জামায়াতে ইসলামীর দলীয় নিবন্ধন বাতিল করে নির্বাচন কমিশন। পরে ২০১৬ সালে একটি প্রশাসনিক চিঠির ভিত্তিতে আদালতের ফুল কোর্ট সভার সুপারিশ অনুযায়ী জামায়াতের দলীয় প্রতীক ‘দাঁড়িপাল্লা’ও বাদ দেওয়া হয়। সর্বশেষ ২০১৭ সালের প্রজ্ঞাপনে প্রতীকটি আনুষ্ঠানিকভাবে বাতিল করা হয়।
তবে উচ্চ আদালতের পর্যবেক্ষণ ও আদেশের আলোকে বর্তমান নির্বাচন কমিশন (নাসিরউদ্দিন কমিশন) জামায়াতকে নিবন্ধন ও পুরনো প্রতীক ফিরিয়ে দিতে নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ জানান, “জামায়াত দলীয় নিবন্ধন ও প্রতীক উভয়ই ফিরে পাবে। তবে প্রতীক ফেরতের জন্য একটি দাফতরিক প্রক্রিয়া রয়েছে, যা সম্পন্ন হতে কিছু সময় লাগবে।”
জামায়াতের প্রতিক্রিয়া
জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ড. হামিদুর রহমান আযাদ বলেন, “ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে আমাদের বিরুদ্ধে অন্যায় হয়েছে। আদালতের রায়ে ন্যায়বিচার পাওয়া গেছে, এখন নির্বাচন কমিশনের উচিত দ্রুত নিবন্ধন ও প্রতীক ফিরিয়ে দেওয়া।” তিনি অভিযোগ করেন, “একটি চিঠির ভিত্তিতে নিবন্ধন বাতিল করা ও প্রতীক কেড়ে নেওয়া ছিল রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।”
প্রতীক সংখ্যা বাড়ানোর পরিকল্পনা
বর্তমানে তফসিলভুক্ত নির্বাচনী প্রতীকের সংখ্যা ৬৯টি। এর মধ্যে ৫০টি প্রতীক নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোর জন্য এবং ১৯টি স্বতন্ত্র প্রার্থীদের জন্য বরাদ্দ রয়েছে। ইসির নির্বাচন ব্যবস্থা অনুবিভাগ-২ এর উপসচিব মো. মনির হোসেন জানান, নতুন দল যুক্ত হওয়ার ফলে পুরনো প্রতীক তালিকা দ্রুত সংকুচিত হচ্ছে, যার ফলে প্রতীক বরাদ্দে জটিলতা তৈরি হচ্ছে।
তিনি বলেন, “বারবার বিধি পরিবর্তনের ঝামেলা এড়াতেই প্রতীকের সংখ্যা ১০০-তে উন্নীত করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। সব প্রতীক একই তফসিলে রাখলে বারবার গেজেট জারি বা বিধি সংশোধনের প্রয়োজন পড়বে না।”
পূর্ববর্তী নির্বাচনগুলোতে প্রতীকের সংখ্যা
ইসি সূত্র বলছে, বর্তমানে নতুন রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। ফলে স্বতন্ত্র প্রার্থীদের জন্য সংরক্ষিত প্রতীক সংখ্যা আরও কমে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। প্রতীক সংকট মোকাবিলায় বড় পরিসরে প্রতীক তালিকা প্রণয়নকে গুরুত্ব দিচ্ছে কমিশন।
যুক্তরাষ্ট্র ভিয়েতনামকে ছাড় দিতে রাজি হয়েছে, কিন্তু আমাদের সঙ্গে ঘাটতি খুবই ছোট- বাণিজ্য উপদেষ্টা
যারা সংস্কার পিছিয়ে দিতে চায় তারাই নির্বাচন পেছাতে চায়: হাসনাত
সানেম'র জরিপ রিপোর্ট অনুযায়ী বিএনপি ৩৯, জামায়াত ২২, এনসিপি ১৬ ভাগ ভোট পাবে
কুমিল্লা অঞ্চলের ১৬ আসনে খেলাফত মজলিসের সম্ভাব্য প্রার্থীদের নাম প্রকাশ