ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বাহিনীর লাগাতার হামলায় মানবিক বিপর্যয় চরমে পৌঁছেছে। শুক্রবার ভোর থেকে শুরু হওয়া নতুন হামলায় অন্তত ৬৪ জন ফিলিস্তিনি প্রাণ হারিয়েছেন। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বহু ঘরবাড়ি, তাঁবুর শিবির এবং একটি সেলুন। খবর দিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা।
গাজার পূর্বাঞ্চলীয় তুফাহ্ এলাকায় ভোররাতে চালানো বিমান হামলায় বিস্ফোরণের শব্দে কেঁপে ওঠে চারপাশ। আকাশে ছড়িয়ে পড়ে ধোঁয়ার কুণ্ডলি। স্থানীয়রা জানান, অনেকেই তখন ঘুমিয়ে ছিলেন।
এদিকে, জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডব্লিউএফপি) গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে জানিয়েছে, গাজায় চরম খাদ্যসংকট চলছে। ইসরায়েলি অবরোধের কারণে খাদ্য ও ত্রাণ সহায়তা পৌঁছাতে পারছে না। ‘এখনই গাজায় খাদ্য সরবরাহ নিশ্চিত না করা গেলে বহু মানুষের জীবন বিপন্ন হবে’— এমন হুঁশিয়ারি দিয়েছে সংস্থাটি।
আলজাজিরার গাজা প্রতিনিধি জানান, চারদিকে শুধু ধ্বংস, মৃত্যুর খবর আর ক্ষুধার্ত মানুষের হাহাকার। ক্রমাগত হামলা, ক্ষুধা ও চিকিৎসার অভাবে মানুষ মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের হিসাবে, টানা ১৮ মাসের এই আগ্রাসনে এখন পর্যন্ত নিহত হয়েছেন ৫১ হাজারের বেশি মানুষ, আহত হয়েছেন এক লাখেরও বেশি। তবে গাজার সরকারি মিডিয়া অফিস দাবি করছে, প্রকৃত মৃতের সংখ্যা ৬১ হাজার ৭০০ ছাড়িয়ে গেছে। বহু মানুষ এখনও ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকা পড়ে আছেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের আকস্মিক হামলায় ইসরায়েলে ১ হাজার ১৩৯ জন নিহত হন এবং ২০০ জনের বেশি অপহৃত হন। সেই ঘটনার প্রতিশোধে ইসরায়েল গাজায় ব্যাপক সামরিক অভিযান শুরু করে, যা এখনও অব্যাহত রয়েছে।
মানবাধিকার সংস্থাগুলোর আহ্বান সত্ত্বেও এখনও পর্যন্ত যুদ্ধবিরতির কোনো সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে না। বরং পরিস্থিতি আরও জটিল ও মানবিকভাবে বিপজ্জনক হয়ে উঠছে।
গ্রেফতারি আবেদন শুনেই লন্ডন ছাড়লেন ইসরায়েলি মন্ত্রী
বাংলাদেশের মন্তব্যে ক্ষুব্ধ নয়াদিল্লি, পশ্চিমবঙ্গ ইস্যুতে কড়া প্রতিক্রিয়া ভারতের
ইসরায়েলের যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব মানেনি হামাস
যুক্তরাষ্ট্রে ৩২৭ শিক্ষার্থীর ভিসা বাতিল, অর্ধেকই ভারতীয়: কংগ্রেস নেতার দাবি
মন্তব্য করুন
আপনার ইমেল প্রকাশ করা হবে না