বাংলাদেশের রাজনীতিতে সহিংসতা যেন এক স্থায়ী চরিত্র হয়ে উঠছে। সর্বশেষ উদাহরণ জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদেরের রংপুরের বাড়িতে হামলার অভিযোগ। তিনি একে “প্রাণনাশের চেষ্টা” বলেই অভিহিত করেছেন। ঘটনাটি শুধু একটি ব্যক্তিগত হামলা নয়—বরং এর মাধ্যমে আমরা দেখতে পাচ্ছি অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে রাজনীতির অস্থির বাস্তবতা এবং বিরোধী দলগুলোর মধ্যে সংঘাত-উন্মুখ মনোভাব কতটা গভীরে গিয়েছে।
বৃহস্পতিবার বিকালে সংবাদ সম্মেলনে কাদের অন্তর্বর্তী সরকারের ভূমিকা নিয়ে গুরুতর প্রশ্ন তোলেন। তরুণ উপদেষ্টাদের পক্ষপাতদুষ্ট আচরণ, বিরোধী দলগুলোর ওপর দমন-পীড়ন, কাউন্সিল বন্ধের অভিযোগসহ নানা ইস্যুতে সরকারকে একহাত নেন তিনি। তার বক্তব্যের পরপরই রংপুরে বিক্ষোভ ঘোষণা করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক পার্টি—দুই নবীন রাজনৈতিক সংগঠন, যারা নিজেদের ‘অসাংবিধানিক প্রক্রিয়ার বিরোধী’ হিসেবে পরিচয় দেয়।
কাদেরের অভিযোগ, মিছিলকারীরা তার বাড়িতে অস্ত্রসহ হামলা করে, মোটরসাইকেলে আগুন লাগায় এবং জানালার কাচ ভাঙে। তার মতে, “আমাকে মেরে ফেলার উদ্দেশ্যেই” এই হামলা করা হয়েছে।
অন্যদিকে মিছিলকারীদের দাবি, তারা কেবল শান্তিপূর্ণ অবস্থান কর্মসূচির উদ্দেশ্যে গিয়েছিল এবং জাতীয় পার্টির ‘সন্ত্রাসীরা’ তাদের ওপর ইট-পাটকেল ও ককটেল নিক্ষেপ করে। হামলার সময় তারা নিজেকে রক্ষা করতে গাছের ডাল ভেঙে লাঠি বানায় বলেও জানায়।
পুলিশের ভাষ্য, দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়, ইট-পাটকেল ছোঁড়া হয় এবং আগুন লাগার ঘটনাও ঘটে। তবে এখনো পর্যন্ত কেউ গ্রেপ্তার হয়নি এবং মামলা প্রক্রিয়াধীন।
এই ঘটনার মাধ্যমে কয়েকটি বিষয় স্পষ্টভাবে উঠে আসে:
জি এম কাদেরের বাড়িতে হামলা, কিংবা তা নিয়ে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ, সবকিছু মিলিয়ে একটি বিষয় পরিষ্কার: রাজনৈতিক বিভাজন এখন ব্যক্তিগত নিরাপত্তা পর্যন্ত গড়িয়ে পড়েছে। এই পরিস্থিতি যদি নিয়ন্ত্রণে না আনা যায়, তবে সামনে আরও বড় সংঘর্ষ, আরও রক্তপাতের সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যায় না।
যদি অন্তর্বর্তী সরকার নিজেকে নিরপেক্ষ প্রমাণ করতে চায়, তবে তাকে এই ঘটনাগুলোতে দ্রুত, নিরপেক্ষ ও দৃশ্যমান পদক্ষেপ নিতে হবে। আর নতুন রাজনৈতিক শক্তিগুলোকে বুঝতে হবে, সহিংসতা নয়—রাজনীতির মূল শক্তি হওয়া উচিত মতপ্রকাশ ও গণআন্দোলনের শান্তিপূর্ণ রূপ।
সূত্র:বিবিসি
যুক্তরাষ্ট্র ভিয়েতনামকে ছাড় দিতে রাজি হয়েছে, কিন্তু আমাদের সঙ্গে ঘাটতি খুবই ছোট- বাণিজ্য উপদেষ্টা
যারা সংস্কার পিছিয়ে দিতে চায় তারাই নির্বাচন পেছাতে চায়: হাসনাত
সানেম'র জরিপ রিপোর্ট অনুযায়ী বিএনপি ৩৯, জামায়াত ২২, এনসিপি ১৬ ভাগ ভোট পাবে
কুমিল্লা অঞ্চলের ১৬ আসনে খেলাফত মজলিসের সম্ভাব্য প্রার্থীদের নাম প্রকাশ