সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবস বুধবার (৭ মে) দেশের পুঁজিবাজারে বড় ধরনের পতনের মধ্য দিয়ে লেনদেন শেষ হয়েছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) উভয় বাজারেই সূচকের পাশাপাশি কমেছে লেনদেনের পরিমাণ। বাজারে চরম মন্দাভাব বিরাজ করছে।
ডিএসই ও সিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
বাজার বিশ্লেষণে দেখা গেছে, বুধবার ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স ১৪৯ পয়েন্ট কমে ৪,৮০২ পয়েন্টে নেমে এসেছে। অপর দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই শরিয়াহ সূচক ৪১ পয়েন্ট এবং ডিএসই-৩০ সূচক ৪০ পয়েন্ট কমে যথাক্রমে ১,০৪৭ ও ১,৭৯৩ পয়েন্টে অবস্থান করছে।
দিনভর লেনদেনে ডিএসইতে মোট ৫১৬ কোটি ৪৬ লাখ টাকার শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা আগের কার্যদিবসের তুলনায় ৩৩ কোটি টাকার কম। আগের দিন লেনদেনের পরিমাণ ছিল ৫৪৯ কোটি ৭৪ লাখ টাকা।
ডিএসইতে মোট ৩৯৯টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে মাত্র ৯টির দাম বেড়েছে, দাম কমেছে ২৮৫টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৫টি কোম্পানির শেয়ার দর।
অপর বাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ২৭০ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১৩,৫৯০ পয়েন্টে। এদিন সিএসইতে ৬ কোটি ৫২ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা আগের দিনের চেয়ে প্রায় পাঁচ কোটি টাকা কম।
সিএসইতে লেনদেন হওয়া ২১৭টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে শেয়ার দর বেড়েছে ২০টির, কমেছে ১৮৭টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ১০টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দর।
পুঁজিবাজারের এমন ধস এবং লেনদেনে স্থবিরতা বিনিয়োগকারীদের মধ্যে নতুন করে আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে। বাজার বিশ্লেষকরা বলছেন, অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা, ব্যাংক খাতে তারল্য সংকট, বিদেশি বিনিয়োগকারীদের অনাগ্রহ এবং রাজনৈতিক অস্থিরতার প্রভাব পুঁজিবাজারে স্পষ্টভাবে পড়ছে।
তারা আরও বলছেন, বাজারে আস্থা ফেরাতে দ্রুত কার্যকর ও বাস্তবভিত্তিক পদক্ষেপ নেওয়া না হলে এ ধারা অব্যাহত থাকতে পারে।