ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সাম্প্রতিক কূটনৈতিক উত্তেজনা বাণিজ্যিক এবং সামরিক স্তরে একাধিক পাল্টা পদক্ষেপে রূপ নিচ্ছে। সর্বশেষ পদক্ষেপ হিসেবে পাকিস্তান ঘোষণা করেছে যে, ভারতীয় পতাকাবাহী কোনো জাহাজ পাকিস্তানি বন্দরে প্রবেশ করতে পারবে না। একইসঙ্গে পাকিস্তানি জাহাজও ভারতীয় বন্দরে যাবে না। যদিও কোনো বিশেষ ক্ষেত্রে ছাড় প্রয়োজন হলে তা আলাদাভাবে বিবেচনা করা হবে।
এই সিদ্ধান্ত এসেছে ভারতের নিষেধাজ্ঞার পরপরই, যেখানে ভারত সরকার পাকিস্তান থেকে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ সব ধরনের আমদানি বন্ধ করেছে এবং পাকিস্তানি জাহাজের ভারতের বন্দরে ভিড়ার ওপরও নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। ভারতের এই পদক্ষেপটি কাশ্মীরে একটি প্রাণঘাতী হামলার প্রতিক্রিয়ায় নেওয়া হয়েছে। ফলে দুই দেশের মধ্যে একমাত্র বৈধ বাণিজ্যপথ ওয়াঘা-আটারি ক্রসিংও কার্যত বন্ধ হয়ে পড়েছে।
যদিও ২০১৯ সালের পুলওয়ামা হামলার পর থেকেই ভারত-পাকিস্তান বাণিজ্যে ধস নেমেছে, তবে বর্তমানে সেটি প্রায় সম্পূর্ণভাবে স্থগিত হয়ে গেল। ভারতের আমদানির তালিকায় পাকিস্তানি পণ্যের অংশগ্রহণ এমনিতেই ছিল নগণ্য—২০২৪-২৫ অর্থবছরে তা ছিল মাত্র ০.০০০১%। তবু দুই দেশের রাজনৈতিক ও সামরিক সম্পর্কের দৃষ্টিকোণ থেকে এই নিষেধাজ্ঞাগুলোর তাৎপর্য গভীর।
এদিকে পাকিস্তান আইএমএফ থেকে প্রাপ্ত ঋণ বিতরণ নিয়েও ভারতের আপত্তি রয়েছে। ভারত আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলকে পাকিস্তানের অর্থনৈতিক অবস্থা ও নিরাপত্তা পরিপ্রেক্ষিতে ঋণের বিষয়টি পুনর্বিবেচনার অনুরোধ জানিয়েছে।
সবশেষে, এই উত্তেজনার মধ্যেই পাকিস্তান একটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের সফল পরীক্ষা চালিয়েছে। ৪৫০ কিলোমিটার পাল্লার ‘আব্দালি উইপন সিস্টেম’ নামের এই ক্ষেপণাস্ত্রের উৎক্ষেপণকে বিশেষজ্ঞরা দক্ষিণ এশিয়ার নিরাপত্তা পরিস্থিতির জন্য উদ্বেগজনক বলে মনে করছেন।
এই ঘটনাগুলো কেবল দুই দেশের মধ্যকার বাণিজ্যিক সম্পর্ক নয়, বরং সামগ্রিক কূটনৈতিক ও সামরিক পরিস্থিতিকেও আরও অস্থিতিশীল করে তুলছে।
তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বিলুপ্তির রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি প্রকাশ
বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে কাল যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ বৈঠক
ইরানের প্রেসিডেন্টের দাবি, ইসরায়েল তাকে ‘হত্যার’ চেষ্টা করেছে
খাদ্যের জন্য মৃত্যুকে উপেক্ষা করে গাজায় ক্ষুধার্ত নারী-পুরুষ-শিশুর লড়াই