বাংলাদেশে ভারতের আধিপত্য চলবে না: কড়া বার্তা

জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) সহসভাপতি ও দলীয় মুখপাত্র রাশেদ প্রধান বলেছেন, “ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা এবং আওয়ামী লীগমুক্ত বাংলাদেশে আমরা ভারতের দাদাগিরি মেনে নেব না।” তিনি বলেন, ভারতের সাম্প্রতিক পুশ-ইন কার্যক্রম বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের প্রতি সরাসরি হুমকি।

শনিবার (১৭ মে) রাজধানীর পল্টনে শফিউল আলম প্রধান মিলনায়তনে জাগপা ছাত্রলীগের ‘কেন্দ্রীয় সংসদের পূর্ণাঙ্গ তালিকা প্রকাশ ও পরিচিতি’ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

জাগপা ছাত্রলীগের ৫১ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিটিকে অভিনন্দন জানিয়ে রাশেদ প্রধান বলেন, “আপনারা জুলাই মাসের গণঅভ্যুত্থানে যেভাবে গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করেছেন, এখন সময় এসেছে দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের রক্ষায় নতুন করে সংগ্রামে নামার।”

ভারতের পুশ-ইন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “গত কয়েক দিনে বলপূর্বক শত শত বাস্তুচ্যুত মিয়ানমারের নাগরিককে বাংলাদেশের সীমান্তে ঠেলে দিয়েছে ভারত। এটি একটি নির্লজ্জ আচরণ এবং আন্তর্জাতিক নীতিমালার পরিপন্থী।”

তিনি আরও বলেন, “অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে এর বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিতে হবে। প্রয়োজনে সীমান্ত জেলাগুলোতে ছাত্র-জনতাকে সীমান্ত রক্ষীদের সঙ্গে পাহারায় নামাতে হবে।”

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জাগপা ছাত্রলীগের সভাপতি আব্দুর রহমান ফারুকী এবং সঞ্চালনায় ছিলেন সাধারণ সম্পাদক জীবন আহমেদ অভি।

আরও বক্তব্য রাখেন—
 জাগপা সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ইকবাল হোসেন, প্রেসিডিয়াম সদস্য আসাদুর রহমান খান, ঢাকা মহানগর আহ্বায়ক শ্যামল চন্দ্র সরকার, সাংগঠনিক সম্পাদক হুসাইন মোহাম্মাদ জামাল আখন্দ, কেন্দ্রীয় সহসভাপতি রেজাউল ইসলাম রেজা, মো. নূর ইসলাম, শাহাদাৎ হোসেন সেলিম, আশফাকুর রহমান মিঠুন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ লুৎফর রহমান, সাদিক হুসাইন, মেহেদী হাসান বাইজিদ, শাহেদ আলম, দপ্তর সম্পাদক এসকে আরিয়ান শরীফ, প্রচার সম্পাদক মো. সাইফুল ইসলাম, অর্থ সম্পাদক মো. ছগিরুল ইসলাম সিয়াম, শিক্ষা সম্পাদক আদিবা খানম, গবেষণা সম্পাদক মোহাম্মাদ আরিফ হোসাইন, সংস্কৃতি সম্পাদক মো. মারুফুল ইসলাম, তথ্যপ্রযুক্তি সম্পাদক মিজানুর রহমান মিজান, ধর্ম সম্পাদক মো. মাহবুব, সাহিত্য সম্পাদক আজিজার রহমান আনিস, পাঠাগার সম্পাদক সজিব আহমেদ, ক্রীড়া সম্পাদক আল-আমীন রেজা, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় সম্পাদক মো. সিরাজুল ইসলাম, প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় সম্পাদক মো. ফয়সাল প্রমুখ।

সভায় বক্তারা ছাত্রলীগের নবগঠিত কমিটির সদস্যদের স্বাধীনতা, গণতন্ত্র এবং সার্বভৌমত্ব রক্ষার লড়াইয়ে সোচ্চার ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান।