গাজায় মানবিক সহায়তা বিতরণ নিয়ে ইসরাইলি মন্ত্রিসভার এক বৈঠকে তীব্র মতবিরোধ দেখা দিয়েছে। বিতরণ ব্যবস্থার দায়িত্ব কাদের হাতে থাকবে—এই প্রশ্নে সরকারের শীর্ষ পর্যায়ের নেতাদের মধ্যে প্রকাশ্য বাকবিতণ্ডা হয়। বুধবার আল জাজিরা ও ইসরাইলি সম্প্রচার সংস্থা কান-এর প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বৈঠকে প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরাইল কাটজ প্রস্তাব করেন, গাজায় মানবিক সহায়তা বিতরণ কার্যক্রম পরিচালনা করবে ইসরাইলি সেনাবাহিনী অথবা মার্কিন বাহিনী। তিনি বলেন, পূর্ববর্তী বিতরণ ব্যবস্থায় হামাস উপকৃত হয়েছে, ফলে বর্তমান পরিস্থিতির জন্য একটি নতুন কৌশল গ্রহণ করা জরুরি।
তবে সেনাপ্রধান ইয়াল জামির এ প্রস্তাবের বিরোধিতা করে বলেন, “সৈন্যরা মানবিক সহায়তা বিতরণে অংশ নেবে না এবং গাজা উপত্যকাকে অনাহারে রাখা হবে না।”
এই মন্তব্যের পর অর্থমন্ত্রী বেজালেল স্মোট্রিচ কড়া প্রতিক্রিয়া জানান। তিনি বলেন, “সেনাবাহিনী নিজের দায়িত্ব নিজে ঠিক করতে পারে না। যদি আপনি (সেনাপ্রধান) কাউকে দায়িত্ব দিতে অক্ষম হন, তাহলে আপনার স্থলাভিষিক্ত নিয়োগ দেওয়া হতে পারে।”
বৈঠকে আরও উত্তেজনা ছড়ায় যখন শিন বেট (আন্তরিক নিরাপত্তা সংস্থা) প্রধান রোনেন বার বক্তব্য রাখছিলেন—এ সময় স্মোট্রিচ সভা থেকে ওয়াকআউট করেন। এটি সরকারের অভ্যন্তরে বিদ্যমান দ্বন্দ্বকে আরও স্পষ্টভাবে তুলে ধরে।
উল্লেখ্য, রোনেন বার বর্তমানে প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে রাজনৈতিক বিরোধে রয়েছেন। নেতানিয়াহুর বরখাস্তের নির্দেশ আদালত সাময়িকভাবে স্থগিত করায় তিনি এখনো দায়িত্ব পালন করছেন। এর আগে স্মোট্রিচ পরিষ্কারভাবে জানিয়েছিলেন, তিনি বারের উপস্থিতিতে বৈঠকে অংশ নেবেন না।
বিশ্লেষকদের মতে, গাজায় সহায়তা বিতরণ ইস্যুতে এমন দ্বন্দ্ব ইসরাইল সরকারের ভেতরকার রাজনৈতিক সংকট এবং নিরাপত্তা নীতিতে অসংগতি স্পষ্টভাবে প্রকাশ করছে।
সূত্র : আল জাজিরা
তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বিলুপ্তির রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি প্রকাশ
বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে কাল যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ বৈঠক
ইরানের প্রেসিডেন্টের দাবি, ইসরায়েল তাকে ‘হত্যার’ চেষ্টা করেছে
খাদ্যের জন্য মৃত্যুকে উপেক্ষা করে গাজায় ক্ষুধার্ত নারী-পুরুষ-শিশুর লড়াই