গাজা ভূখণ্ডে ইসরাইলি বাহিনীর সাম্প্রতিক হামলায় রক্তক্ষয়ী বাস্তবতা আবারও সামনে এসেছে। গতকাল মঙ্গলবার বার্তাসংস্থা আনাদোলু জানায়, একদিনেই কমপক্ষে ৪০ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, আহত হয়েছেন অন্তত দুই শতাধিক। ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে প্রকাশিত তথ্যে বলা হয়েছে, ২০২৩ সালের অক্টোবরে ইসরাইলের সামরিক অভিযান শুরুর পর থেকে এখন পর্যন্ত নিহতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫৪ হাজার ৫১০ জনে।
গাজার ধ্বংসস্তূপে এখনো আটকে আছেন বহু মানুষ। রাস্তায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে থাকা মরদেহ উদ্ধারে চরম দুর্ভোগে রয়েছেন স্থানীয় উদ্ধারকর্মীরা। ইসরাইলি বাহিনীর হামলা ও অবরোধের কারণে অনেক এলাকাতেই পৌঁছানো যাচ্ছে না। এর ফলে মৃত্যুর প্রকৃত সংখ্যা আরও বেশি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
২০২৪ সালের জানুয়ারিতে এক যুদ্ধবিরতি ও বন্দি বিনিময় চুক্তির আওতায় সাময়িকভাবে সংঘর্ষ থেমেছিল। কিন্তু ১৮ মার্চ চুক্তি বাতিল করে ইসরাইল ফের হামলা শুরু করে। এরপর থেকে বিমান ও স্থলপথে হামলার তীব্রতা অনেক বেড়ে যায়। ১৮ মার্চের পর থেকে এখন পর্যন্ত ইসরাইলের নতুন দফার হামলায় নিহত হয়েছেন ৪ হাজার ২৪০ জন ফিলিস্তিনি, আহত হয়েছেন আরও ১২ হাজার ৮৬০ জন।
চলমান হামলা শুধুমাত্র যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের উদাহরণই নয়, বরং এটি একটি মানবিক বিপর্যয়কে আরও গভীর করে তুলছে। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলো এবং জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থা এ ধরনের হামলার বিরুদ্ধে বারবার সতর্ক করলেও, গাজার নিরীহ জনগণের ওপর এই সহিংসতা বন্ধ হয়নি। মানবিক সহায়তা কার্যক্রমও বাধার মুখে রয়েছে, ফলে খাদ্য, ওষুধ ও চিকিৎসা সুবিধার তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে।
এই পরিস্থিতিতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের দায়িত্বশীল ভূমিকা ও অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির দাবি আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি জরুরি হয়ে উঠেছে। গাজার মানুষ এক অবর্ণনীয় সংকটের মধ্যে দিন কাটাচ্ছে—নিরাপত্তাহীনতা, অনিশ্চয়তা ও বেঁচে থাকার লড়াই এখন তাদের নিত্যদিনের বাস্তবতা।
তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বিলুপ্তির রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি প্রকাশ
বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে কাল যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ বৈঠক
ইরানের প্রেসিডেন্টের দাবি, ইসরায়েল তাকে ‘হত্যার’ চেষ্টা করেছে
খাদ্যের জন্য মৃত্যুকে উপেক্ষা করে গাজায় ক্ষুধার্ত নারী-পুরুষ-শিশুর লড়াই