নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শুক্রবার ভোরে শহরের দেওভোগ এলাকার নিজ বাড়ি থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয় এবং পরে আদালতে হাজির করে কারাগারে পাঠানো হয়। পুলিশ জানায়, তার বিরুদ্ধে সিদ্ধিরগঞ্জ ও ফতুল্লা থানায় হত্যা ও হত্যাচেষ্টা মিলিয়ে পাঁচটি মামলা রয়েছে। এর মধ্যে একটি হত্যা মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।
আইভীর গ্রেফতারে স্থানীয় জনগণ ও তার সমর্থকদের মধ্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। বৃহস্পতিবার রাতে পুলিশ যখন তাকে গ্রেফতার করতে বাড়িতে যায়, তখন আশপাশের মসজিদে মাইকিং করে লোক জড়ো করা হয়। শত শত মানুষ তার বাড়ির সামনে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ শুরু করে এবং সড়কে ব্যারিকেড বসিয়ে পুলিশের প্রবেশে বাধা দেয়। পরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে ভোরে আইভী নিজেই বাড়ির নিচে নেমে এসে পুলিশের গাড়িতে ওঠেন।
গ্রেফতারের সময় আইভী সাংবাদিকদের বলেন, জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু বলা যদি অপরাধ হয়, তাহলে তিনি অপরাধী। তবে তিনি কখনো কাউকে আঘাত করেননি বা দলের বাইরে গিয়ে কিছু করেননি বলে দাবি করেন। তিনি অভিযোগ করেন, পুলিশ কোনো গ্রেফতারি পরোয়ানা দেখায়নি।
পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ফৌজদারি মামলায় গ্রেফতারে পরোয়ানা দেখানো বাধ্যতামূলক নয়। আইভীর গ্রেফতারের পর তাকে নারায়ণগঞ্জ আদালতে হাজির করা হলে বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। আওয়ামী লীগের এই বর্ষীয়ান নেত্রীর গ্রেফতার নিয়ে স্থানীয় ও জাতীয় পর্যায়ে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে।
সূত্র:বিবিসি
৫ আগস্ট যাত্রাবাড়ীতে পুলিশের নির্বিচার গুলিতে কমপক্ষে ৫২ জন নিহত হন বলে বিবিসি আই- এর একটি অনুসন্ধানে উঠে এসেছে
গণহত্যার মামলায় শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের আদেশ ১০ জুলাই
শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গঠনে দ্বিতীয় দিনের শুনানি আজ
আদালত অবমাননার মামলা: শেখ হাসিনার ৬ মাসের কারাদণ্ড