মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় জামায়াত নেতা এটিএম আজহারুল ইসলামকে মৃত্যুদণ্ড থেকে খালাস দিয়েছেন আপিল বিভাগ।
মঙ্গলবার (২৭ মে) প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে সাত সদস্যের বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন। আদালত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের ২০১৪ সালের মৃত্যুদণ্ডের রায় এবং ২০১৯ সালের আপিল বিভাগের পূর্ববর্তী রায় বাতিল করে আজহারুল ইসলামের খালাস দেন।
রায়ের চারটি প্রধান যুক্তি বা পর্যবেক্ষণ:
১. বিচারব্যবস্থার মূলচরিত্রের বিপর্যয়
অতীতের রায়ে বিচারপদ্ধতি পাল্টে ফেলা হয়েছিল। বিশেষ করে বাংলাদেশ ও উপমহাদেশে ক্রিমিনাল জাস্টিস সিস্টেমের স্বাভাবিক প্রক্রিয়া থেকে বিচ্যুতি ঘটানো হয়, যা আদালতের মতে ছিল একটি গুরুতর ভুল।
২.সাক্ষ্যপ্রমাণ মূল্যায়নের ঘাটতি
আদালতের ভাষ্য অনুযায়ী, উপস্থাপিত সাক্ষ্যপ্রমাণ সঠিকভাবে মূল্যায়ন না করেই এটিএম আজহারুল ইসলামকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছিল। অর্থাৎ, রায় প্রমাণনির্ভর ছিল না।
৩.বিচারের নামে অবিচার
রায়টিকে আদালত "Travesty of Truth" বা বিচারের নামে অবিচার বলে আখ্যায়িত করেছেন, যা পৃথিবীর বিচার ইতিহাসে একটি দুঃখজনক উদাহরণ।
৪.পূর্ববর্তী আপিল বিভাগের ব্যর্থতা
আদালতের মতে, আগে আপিল বিভাগের বিচারকরা সমস্ত তথ্য ও প্রমাণের সঠিক বিচার করতে ব্যর্থ হয়েছেন। এই ব্যর্থতা সংশোধন করতেই পুনরায় রায় দেওয়া হলো।
এই রায়ের মাধ্যমে এটিএম আজহারুল ইসলাম সম্পূর্ণ খালাস পেলেন এবং আদালত স্পষ্ট ভাষায় জানাল, এ মামলায় অতীতে যা হয়েছে, তা ছিল বিচারের নামে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত একটি প্রতিহিংসামূলক রায়। এটি বাংলাদেশের বিচার ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ দৃষ্টান্ত তৈরি করল, যেখানে সুপ্রিম কোর্ট নিজের পূর্ববর্তী রায়ও সংশোধন করে ন্যায়ের প্রতিষ্ঠা করেছে।
৫ আগস্ট যাত্রাবাড়ীতে পুলিশের নির্বিচার গুলিতে কমপক্ষে ৫২ জন নিহত হন বলে বিবিসি আই- এর একটি অনুসন্ধানে উঠে এসেছে
গণহত্যার মামলায় শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের আদেশ ১০ জুলাই
শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গঠনে দ্বিতীয় দিনের শুনানি আজ
আদালত অবমাননার মামলা: শেখ হাসিনার ৬ মাসের কারাদণ্ড