ফেনী-১ (ছাগলনাইয়া, ফুলগাজী ও পরশুরাম) আসনটি দীর্ঘদিন ধরে বিএনপির শক্ত ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত। এই আসন থেকেই একাধিকবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে প্রধানমন্ত্রী ও বিরোধীদলীয় নেত্রীর দায়িত্ব পালন করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। ১৯৯১, ১৯৯৬ এবং ২০০১ সালের জাতীয় নির্বাচনে তিনি এ আসনে জয়ী হন এবং তা বিএনপির জন্য এক ধরনের প্রতীকী আসনে পরিণত হয়।
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে এই আসনে কে হবেন বিএনপির প্রার্থী—এ নিয়ে শুরু হয়েছে নানা জল্পনা। স্থানীয় বিএনপি নেতাকর্মীরা এখনও খালেদা জিয়াকেই প্রার্থী হিসেবে চান, তবে তার শারীরিক অসুস্থতা থাকায় দল বিকল্প মুখ নিয়েও ভাবছে। সম্ভাব্য প্রার্থীদের মধ্যে আছেন তার ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী সৈয়দা শামিলা রহমান, কেন্দ্রীয় গ্রাম সরকারবিষয়ক সম্পাদক বেলাল আহমেদ, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি কামাল উদ্দিন সবুজ ও প্রয়াত সাঈদ ইস্কান্দারের ছেলে ব্যারিস্টার শামস ইস্কান্দার।
অন্যদিকে জামায়াতে ইসলামী ইতোমধ্যে এই আসনে অ্যাডভোকেট কালাম আহমেদকে একক প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করেছে। তিনি এলাকাভিত্তিক সামাজিক কর্মকাণ্ড এবং সরাসরি নির্বাচনী প্রচারণায় সক্রিয় রয়েছেন। বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস (মামুনুল হক অংশ) থেকে মাওলানা নাজমুল আলম এবং মাওলানা আবদুল আজিজ আহমদী এই আসনে একক প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা পেয়েছেন। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশও এ আসনে নিজ অবস্থান জানান দিতে শুরু করেছে।
তবে এই আসনে এখনো কোনো সাংগঠনিক উপস্থিতি গড়ে তুলতে পারেনি নবগঠিত রাজনৈতিক দল এনসিপি। যদিও দলটি প্রচারণামূলক তৎপরতা চালানোর চেষ্টা করছে, কিন্তু নির্বাচনী মাঠে তাদের তেমন প্রভাব এখনো দেখা যাচ্ছে না।
সামগ্রিকভাবে, এই আসনে বিএনপি যদি খালেদা জিয়াকে প্রার্থী করতে পারে, তাহলে তা হবে প্রতিদ্বন্দ্বীদের জন্য কঠিন চ্যালেঞ্জ। আর তিনি না এলে, আসনটি ঘিরে শুরু হতে পারে কৌশলগত প্রতিযোগিতা, বিশেষ করে জামায়াত ও ইসলামী দলগুলোর মধ্যে।
যুক্তরাষ্ট্র ভিয়েতনামকে ছাড় দিতে রাজি হয়েছে, কিন্তু আমাদের সঙ্গে ঘাটতি খুবই ছোট- বাণিজ্য উপদেষ্টা
যারা সংস্কার পিছিয়ে দিতে চায় তারাই নির্বাচন পেছাতে চায়: হাসনাত
সানেম'র জরিপ রিপোর্ট অনুযায়ী বিএনপি ৩৯, জামায়াত ২২, এনসিপি ১৬ ভাগ ভোট পাবে
কুমিল্লা অঞ্চলের ১৬ আসনে খেলাফত মজলিসের সম্ভাব্য প্রার্থীদের নাম প্রকাশ