জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা তাদের তিন দফা দাবিতে কাকরাইল মোড়ে অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছেন।
১৪ মে রাতভর আন্দোলনকারীদের মধ্যে কেউ শুয়ে, কেউ বসে, কেউ গান গেয়ে বা কবিতা পড়ে, কেউ স্লোগান দিয়ে অন্যদের উজ্জীবিত রেখে আন্দোলনে অংশ নেন। প্রায় পাঁচ শতাধিক সাধারণ শিক্ষার্থী এবং ছাত্রদল, শিবির, ছাত্র অধিকার পরিষদ, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের কর্মীরা এতে অংশ নেন।
শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত তারা রাজপথেই থাকবেন—even মার খেয়েও আন্দোলন ছাড়বেন না।
শিক্ষকদের মধ্যেও আন্দোলনের সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করে অনেকে সারারাত রাস্তায় ছিলেন। শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মোশাররফ হোসেন বলেন, “আমার শিক্ষার্থীরা আছে, তাই আমিও আছি।”
আন্দোলনের পটভূমি হিসেবে, সকাল ১১টায় শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা ‘লংমার্চ টু যমুনা’ কর্মসূচি নিয়ে কাকরাইল মোড়ে পৌঁছালে পুলিশ তাদের ওপর টিয়ারশেল, সাউন্ড গ্রেনেড ও গরম পানি নিক্ষেপ করে এবং পরে লাঠিচার্জ করে। এতে শতাধিক আহত হন, যাদের মধ্যে সাংবাদিক ও শিক্ষকও রয়েছেন।
রাতে উপদেষ্টা মাহফুজ আন্দোলনকারীদের সামনে এসে বক্তব্য দিলেও, শিক্ষার্থীরা তাতে অসন্তোষ প্রকাশ করে “ভুয়া ভুয়া” স্লোগান দেন এবং কেউ একজন তার দিকে বোতল ছুড়ে মারেন। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে উপদেষ্টা ব্রিফিং শেষ না করেই চলে যান।
তিন দফা দাবি:
১. জবির ৭০% শিক্ষার্থীর জন্য ২০২৫-২৬ অর্থবছর থেকে আবাসন বৃত্তি কার্যকর।
২. প্রস্তাবিত পূর্ণাঙ্গ বাজেট কাটছাঁট ছাড়াই অনুমোদন।
৩. দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ একনেক সভায় অনুমোদনসহ অগ্রাধিকার প্রকল্পে বাস্তবায়ন।
আন্দোলনকারীরা ঘোষণা দিয়েছেন, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ থাকবে এবং অবস্থান কর্মসূচি চলবে।
সূত্র:কালবেলা