আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে ‘জুলাই গণহত্যা’ মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে প্রধান অভিযুক্ত করে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করেছে প্রসিকিউশন টিম। রোববার (১ জুন) দুপুর ১২টার পর চিফ প্রসিকিউটর মো. তাজুল ইসলাম ট্রাইব্যুনালে অভিযোগপত্র জমা দেন। এর মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে মামলার বিচারপ্রক্রিয়া শুরু হলো। এ সময় শুনানি বাংলাদেশ টেলিভিশনে সরাসরি সম্প্রচার করা হয়।
মামলায় শেখ হাসিনার পাশাপাশি আরও দুইজনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। তারা হলেন তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং সাবেক পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন। এই তিনজনের বিরুদ্ধেই পাঁচটি পৃথক অভিযোগ আনা হয়েছে, যা তদন্ত সংস্থা গত ১২ মে ট্রাইব্যুনালে দাখিল করে।
চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম বলেন, “জুলাই-আগস্টজুড়ে সারাদেশে যে গণহত্যা সংঘটিত হয়েছে, তার মূল নির্দেশদাতা ছিলেন শেখ হাসিনা।” তিনি আরও জানান, বিচারপ্রক্রিয়া দ্রুত ও আন্তর্জাতিক মান বজায় রেখে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে তাঁরা কাজ করছেন। ডিসেম্বরের মধ্যেই মামলায় দৃশ্যমান অগ্রগতি দেখা যাবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
শেখ হাসিনাকে ‘গুম ও আয়নাঘরের নিউক্লিয়াস’ আখ্যা দিয়ে তাজুল ইসলাম বলেন, “এই বিচারে এমন কোনো ঘাটতি রাখা হবে না, যাতে ভবিষ্যতে কেউ প্রক্রিয়ার নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে পারে।” তিনি জানান, তদন্ত শেষ করতে যুক্তিসংগত সময় লাগবে, তবে বিচার পুরোদমে এগিয়ে চলছে।
এর আগে এক সংবাদ সম্মেলনে তাজুল ইসলাম জানান, জুলাইয়ে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের উসকানিদাতা হিসেবে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধেই মামলার প্রথম ও প্রধান অভিযোগ আনা হয়েছে।
এ মামলাকে ঘিরে রাজনৈতিক অঙ্গনে তীব্র আলোচনা শুরু হয়েছে। এটি শুধু বাংলাদেশের আইনি ইতিহাসে নয়, রাজনৈতিক ভবিষ্যতের দিক থেকেও অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ অধ্যায় হয়ে উঠতে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
৫ আগস্ট যাত্রাবাড়ীতে পুলিশের নির্বিচার গুলিতে কমপক্ষে ৫২ জন নিহত হন বলে বিবিসি আই- এর একটি অনুসন্ধানে উঠে এসেছে
গণহত্যার মামলায় শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের আদেশ ১০ জুলাই
শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গঠনে দ্বিতীয় দিনের শুনানি আজ
আদালত অবমাননার মামলা: শেখ হাসিনার ৬ মাসের কারাদণ্ড