খালেদা জিয়া শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ আছেন—জানালেন ডা. জাহিদ

চার মাসের চিকিৎসা শেষে যুক্তরাজ্য থেকে দেশে ফিরেছেন বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। আজ মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান তিনি। সেখান থেকে সরাসরি গুলশান-২–এর নিজ বাসভবন ‘ফিরোজা’য় ফিরে যান।

দীর্ঘ ভ্রমণের কারণে খানিকটা ক্লান্ত হলেও খালেদা জিয়ার শারীরিক ও মানসিক অবস্থার উন্নতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন তাঁর ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক এ জেড এম জাহিদ হোসেন। গুলশানে ফিরোজার সামনে আয়োজিত এক ব্রিফিংয়ে তিনি বলেন, ‘চিকিৎসার পর উনি অনেকটা সুস্থ আছেন এবং মানসিকভাবেও স্ট্যাবল। আপনারা ওনার জন্য দোয়া করবেন।’

জাহিদ হোসেন জানান, যুক্তরাজ্যে অবস্থানকালীন সময়ের পুরো চিকিৎসা সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে। কাতার সরকারের দেওয়া বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে তিনি ঢাকায় ফেরেন। এ সহায়তার জন্য কাতার সরকার ও সংশ্লিষ্টদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন জাহিদ হোসেন। তাঁর ভাষায়, ‘কাতার সরকার বিনা মূল্যে যে সহায়তা দিয়েছে, তা জিয়া পরিবারের সঙ্গে তাঁদের সম্পর্কের প্রকাশ।’

নেতাকর্মীদের ভিড় না করার অনুরোধ
খালেদা জিয়ার আগমন উপলক্ষে সকাল থেকেই গুলশানের ফিরোজা সংলগ্ন এলাকায় ভিড় জমাতে থাকেন বিএনপির নেতা-কর্মীরা। জাতীয় পতাকা ও দলীয় পতাকা হাতে তাঁরা নানা রকম স্লোগান দিতে থাকেন। খালেদা জিয়া দুপুর ১টা ২৫ মিনিটে ফিরোজায় পৌঁছান।

তবে চেয়ারপারসনের শারীরিক অবস্থা বিবেচনায় নেতা-কর্মীদের ভিড় না করার অনুরোধ জানিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, ‘চিকিৎসকেরা তাঁকে অন্তত আট ঘণ্টা সম্পূর্ণ বিশ্রামে থাকার পরামর্শ দিয়েছেন। তাই এখন কেউ স্লোগান দেবেন না, ভিড় করবেন না। সবাইকে অনুরোধ করছি, যেন কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা না হয়।’

খালেদা জিয়ার সঙ্গে তাঁর দুই পুত্রবধূ জুবাইদা রহমান ও সৈয়দা শামিলা রহমানও দেশে ফিরেছেন।
 চিকিৎসা শেষে খালেদা জিয়ার এই প্রত্যাবর্তনকে কেন্দ্র করে দলের মধ্যে নতুন করে প্রাণচাঞ্চল্য লক্ষ্য করা গেছে। ফিরোজা ও আশপাশের এলাকায় আগেই কড়া নিরাপত্তাব্যবস্থা নেওয়া হয়। সড়ক অবরোধ ও পুলিশের উপস্থিতিতে পুরো এলাকা ছিল নিয়ন্ত্রিত।
সূত্র:প্রথম আলো