বিএনপি নেতা ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেনকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র হিসেবে শপথ পড়াতে আজকের (২৬ মে) মধ্যে সময়সীমা বেঁধে দিয়ে আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে স্থানীয় সরকার বিভাগকে। বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও আইনজীবী ব্যারিস্টার এম মাহবুব উদ্দিন খোকনের পক্ষ থেকে পাঠানো এই লিগ্যাল নোটিশে বলা হয়েছে, আদালতের রায় সত্ত্বেও শপথ না পড়ানো হলে তা হবে সরাসরি আদালত অবমাননা।
ব্যারিস্টার খোকন হাইকোর্ট প্রাঙ্গণে সাংবাদিকদের বলেন, হাইকোর্ট ইতিমধ্যে রায় দিয়েছেন, যা ইশরাকের শপথ গ্রহণে আর কোনো আইনগত বাধা রাখে না। তাই ২৬ মে’র মধ্যে শপথের ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার প্রক্রিয়া শুরু হবে।
এদিকে, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া ১৯ মে তার ফেসবুক পোস্টে শপথ না পড়ানোর পেছনে ১০টি আইনি ও প্রক্রাগত জটিলতার ব্যাখ্যা দেন। তিনি দাবি করেন,
১. হাইকোর্টের নির্দেশ উপেক্ষা করে নির্বাচন ট্রাইব্যুনাল রায় দিয়েছে।
২. নির্বাচন কমিশনের অনুপস্থিতিতে একতরফা রায় হয়েছে এবং কমিশন আপিল করেনি।
৩. আইন মন্ত্রণালয়ের মতামত ছাড়াই রাত ১০টায় গেজেট প্রকাশ করা হয়েছে।
৪. স্থানীয় সরকার বিভাগ মামলায় পক্ষভুক্ত ছিল না এবং রায়ে তাদের কোনো নির্দেশনা নেই।
৫. নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে দায়ের করা রিট এখনো বিচারাধীন।
৬. বরিশাল সিটি সংক্রান্ত মামলায় একই বিষয়ে ভিন্ন রায় দেওয়ায় বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে।
৭. ইশরাকের মেয়াদ থাকা না থাকা নিয়েও আইনি অস্পষ্টতা রয়েছে।
৮. বিতর্কিত রায় ও চলমান লিগ্যাল চ্যালেঞ্জগুলো বিবেচনায় নেওয়া হচ্ছে।
৯. এই জটিলতা নিরসনে আইন মন্ত্রণালয়ের মতামত চাওয়া হয়েছে।
১০. অতীতের ‘আওয়ামী আমলে’ হওয়া নির্বাচনের বৈধতা প্রশ্নে রাজনৈতিক অবস্থান পরিষ্কার হওয়া দরকার।
বিএনপি মনে করছে, সরকারের দোদুল্যমান অবস্থান ইচ্ছাকৃত বিলম্বের কৌশল। দলটির নেতারা বলছেন, আদালতের নির্দেশনা থাকা সত্ত্বেও সরকার শপথ অনুষ্ঠান ঠেকাতে নানা কৌশলে সময়ক্ষেপণ করছে। সরকারের পক্ষ থেকে আবার বলা হচ্ছে, আইনি প্রক্রিয়া না মানা হলে তা ভবিষ্যতে আরও জটিলতা তৈরি করতে পারে।
ইশরাক হোসেনের শপথগ্রহণের বিষয়টি এখন শুধুই রাজনৈতিক বিতর্ক নয়—এটি একদিকে আইনের শাসনের প্রশ্ন, অন্যদিকে প্রশাসনিক জটিলতার ইঙ্গিত দিচ্ছে। আজকের মধ্যে শপথ না হলে পরবর্তী আইনি পদক্ষেপ কী হয়, সেটিই এখন দেখার বিষয়। আদালত, নির্বাচন কমিশন এবং স্থানীয় সরকার বিভাগ—তিন পক্ষের মধ্যে সমন্বয়হীনতা ও দ্বৈত অবস্থান পরিস্থিতিকে আরও ঘোলাটে করে তুলছে।
সূত্র:যুগান্তর
যুক্তরাষ্ট্র ভিয়েতনামকে ছাড় দিতে রাজি হয়েছে, কিন্তু আমাদের সঙ্গে ঘাটতি খুবই ছোট- বাণিজ্য উপদেষ্টা
যারা সংস্কার পিছিয়ে দিতে চায় তারাই নির্বাচন পেছাতে চায়: হাসনাত
সানেম'র জরিপ রিপোর্ট অনুযায়ী বিএনপি ৩৯, জামায়াত ২২, এনসিপি ১৬ ভাগ ভোট পাবে
কুমিল্লা অঞ্চলের ১৬ আসনে খেলাফত মজলিসের সম্ভাব্য প্রার্থীদের নাম প্রকাশ