অত্যন্ত শ্রদ্ধাভাজন ও সর্বজনপ্রিয় ব্যক্তিত্ব অধ্যক্ষ মাওলানা তায়েব আলী ছিলেন এক অকৃত্রিম, সাদাসিধে জীবনযাপনকারী, অজাতশত্রু, অমায়িক এবং প্রাজ্ঞ অভিভাবক। সব শ্রেণি-পেশার মানুষের কাছে তিনি ছিলেন আপনজন। হিন্দু-মুসলিম, শিক্ষিত-অশিক্ষিত, কৃষক-শ্রমিক, যুবক-বৃদ্ধ—সবাই ছিলেন তাঁর ভক্ত। এমন সর্বজন শ্রদ্ধেয় মানুষ খুব কমই দেখা যায় যিনি সবাইকে আপন করে নিতে পারেন।
তাঁর জনপ্রিয়তা ও গ্রহণযোগ্যতার সবচেয়ে বড় উদাহরণ হলো—১৯৯০, ২০০৮ এবং ২০১৩ সালের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বগুড়ার কাহালু উপজেলায় সব দলের সব প্রার্থীর সম্মিলিত ভোটের চেয়েও বেশি ভোট পেয়ে তিনি তিনবারই চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। এ যেন ছিল জনতার অকুণ্ঠ ভালোবাসার এক অকাট্য প্রমাণ। জামায়াতে ইসলামী পরবর্তী সময়ে কেন্দ্রীয়ভাবে নির্বাচন বর্জন করায় তিনি আর প্রার্থী হননি। তবে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৩৯-বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) আসনে তিনি দলীয় মনোনয়ন পেয়েছিলেন। এলাকাবাসীর আশা ছিল—এবার তাঁরা একজন সৎ, নির্লোভ, প্রজ্ঞাবান মানুষকে সংসদে পাঠাতে পারবেন। কিন্তু আল্লাহর ফয়সালার কাছে আমাদের নত হওয়া ছাড়া আর কোনো উপায় নেই।
অধ্যক্ষ মাওলানা তায়েব আলীর কর্মময় জীবন:
১. তিনবার নির্বাচিত কাহালু উপজেলা চেয়ারম্যান – ১৯৯০, ২০০৮ ও ২০১৩ সালের নির্বাচনে অভাবনীয় ভোটে জয়ী হন।
২. ছাত্র রাজনীতিতে পদচারণা – ঐতিহ্যবাহী বগুড়া সরকারি মুস্তাফাবিয়া আলিয়া মাদ্রাসার ছাত্র সংসদের জেনারেল সেক্রেটারি (জিএস)।
৩. শিক্ষাক্ষেত্রে অবদান – কল্যাপাড়া ফাজিল ডিগ্রি মাদ্রাসার ছাত্র ও পরে দীর্ঘদিন অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
৪. বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষক পরিষদ – কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও বগুড়া জেলা সভাপতি ছিলেন।
৫. বগুড়া জেলা ওলামা মাশায়েখ পরিষদ – সভাপতি হিসেবে নেতৃত্ব দিয়েছেন।
৬. নারী শিক্ষায় ভূমিকা – কাহালু আদর্শ মহিলা ডিগ্রি কলেজের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ছিলেন।
৭. জামায়াতে ইসলামীতে ভূমিকা – সাবেক কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও বগুড়া জেলা পশ্চিম শাখার আমীর ছিলেন।
উল্লেখযোগ্যভাবে, তিনি ছিলেন মরহুম আলহাজ্ব খোরশেদ আলম মুন্সির জামাতা—যিনি কল্যাপাড়ার এক বুনিয়াদি, সম্মানিত ও ধনাঢ্য পরিবার থেকে আগত।
তাঁর জানাজায় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির জনাব মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম খানসহ দলের স্থানীয় ও আঞ্চলিক নেতৃবৃন্দ। এলাকার শত শত মানুষ তাঁকে শেষ বিদায় জানাতে ছুটে আসেন—যার মধ্য দিয়ে প্রকাশ পায় তাঁর প্রতি গভীর ভালোবাসা ও সম্মান।
আল বিদা, প্রিয় নেতা।
মহান আল্লাহ তায়ালা তাঁকে জান্নাতুল ফেরদাউসের মেহমান হিসেবে কবুল করুন। আমিন।
একজন অধ্যক্ষ, একজন রাজনীতিক, একজন সমাজসংস্কারক ও একজন মানবিক অভিভাবকের অবদান কখনো বিস্মৃত হওয়ার নয়। তাঁর শূন্যতা কাহালু-নন্দীগ্রামবাসী যুগ যুগ ধরে অনুভব করবে।
যুক্তরাষ্ট্র ভিয়েতনামকে ছাড় দিতে রাজি হয়েছে, কিন্তু আমাদের সঙ্গে ঘাটতি খুবই ছোট- বাণিজ্য উপদেষ্টা
যারা সংস্কার পিছিয়ে দিতে চায় তারাই নির্বাচন পেছাতে চায়: হাসনাত
সানেম'র জরিপ রিপোর্ট অনুযায়ী বিএনপি ৩৯, জামায়াত ২২, এনসিপি ১৬ ভাগ ভোট পাবে
কুমিল্লা অঞ্চলের ১৬ আসনে খেলাফত মজলিসের সম্ভাব্য প্রার্থীদের নাম প্রকাশ