বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র হিসেবে শপথ না পড়ানোকে ঘিরে রাজনৈতিক উত্তেজনা বাড়ছে। দ্বিতীয় দিনের মতো বৃহস্পতিবার (১৫ মে) নগর ভবনের সামনে বিক্ষোভ করেছে বিএনপি ও তার অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
সকাল থেকেই দক্ষিণ সিটির বিভিন্ন ওয়ার্ড ও থানা থেকে মিছিল সহকারে সমর্থকরা নগর ভবনের সামনে জড়ো হন। স্লোগানে স্লোগানে মুখরিত হয়ে ওঠে পুরো এলাকা। বিক্ষোভ থেকে হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়, যদি দ্রুত ইশরাক হোসেনকে শপথ না পড়ানো হয়, তবে জনগণ নিজেরাই তাকে মেয়র হিসেবে শপথ পড়াবে।
বক্তারা বলেন, “সরকার শপথের প্রক্রিয়ায় গড়িমসি করে ইশরাক হোসেনের আইনসম্মত অধিকার খর্ব করছে। আর দেরি হলে এবার আর সরকারি আয়োজনের অপেক্ষা নয়—জনগণ নিজেরাই তাকে মেয়রের দায়িত্ব বুঝিয়ে দেবে।”
এর আগে ২৭ এপ্রিল নির্বাচন কমিশন (ইসি) আনুষ্ঠানিকভাবে ইশরাক হোসেনকে ডিএসসিসির মেয়র হিসেবে ঘোষণা করে। এই গেজেট প্রকাশের আগে আইন মন্ত্রণালয়ের পরামর্শ নেওয়া হয়। বিষয়টির সূত্রপাত ২০২০ সালের নির্বাচনের ফল বাতিল করে নির্বাচনি ট্রাইব্যুনালের দেওয়া রায়ের মাধ্যমে, যেখানে বিচারক মো. নুরুল ইসলাম তৎকালীন মেয়র ফজলে নূর তাপসের জয় বাতিল করে ইশরাক হোসেনকে বৈধ মেয়র হিসেবে ঘোষণা করেন।
উল্লেখ্য, ২০২০ সালের ১ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত নির্বাচনে দক্ষিণে আওয়ামী লীগের প্রার্থী তাপসকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ তুলে ওই ফলের বিরুদ্ধে ৩ মার্চ আদালতে যান বিএনপি প্রার্থী ইশরাক। দীর্ঘ আইনি প্রক্রিয়া শেষে আদালতের রায় তার পক্ষেই আসে।
তবে এখনো শপথ অনুষ্ঠানের তারিখ নির্ধারিত হয়নি। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, বিষয়টি প্রশাসনিক সিদ্ধান্তের গতি ও সরকারের সদিচ্ছার ওপর নির্ভর করছে। অন্যদিকে, বিএনপি ও ইশরাকের সমর্থকরা এটিকে রাজনৈতিকভাবে বাধাগ্রস্ত করার চেষ্টা বলে অভিযোগ করছে। পরিস্থিতি কোন দিকে মোড় নেয়, তা নির্ভর করছে সরকারের পরবর্তী পদক্ষেপের ওপর।
যুক্তরাষ্ট্র ভিয়েতনামকে ছাড় দিতে রাজি হয়েছে, কিন্তু আমাদের সঙ্গে ঘাটতি খুবই ছোট- বাণিজ্য উপদেষ্টা
যারা সংস্কার পিছিয়ে দিতে চায় তারাই নির্বাচন পেছাতে চায়: হাসনাত
সানেম'র জরিপ রিপোর্ট অনুযায়ী বিএনপি ৩৯, জামায়াত ২২, এনসিপি ১৬ ভাগ ভোট পাবে
কুমিল্লা অঞ্চলের ১৬ আসনে খেলাফত মজলিসের সম্ভাব্য প্রার্থীদের নাম প্রকাশ