সৌদি আরবের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় অনুমোদন ছাড়া হজ পালনের চেষ্টা বা সহায়তা প্রদানকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তির ঘোষণা দিয়েছে। ২৯ এপ্রিল থেকে শুরু করে আগামী ১০ জুন পর্যন্ত এই নতুন নিয়ম কার্যকর থাকবে, যা মক্কা ও পবিত্র স্থানগুলোর নিরাপত্তা ও নিয়ন্ত্রণের জন্য বেশ গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
মন্ত্রণালয়ের ঘোষণায় বলা হয়েছে, অনুমোদন ছাড়া হজ পালনের চেষ্টা করলে বা হজ পালনের উদ্দেশ্যে মক্কা নগরী এবং পবিত্র স্থানগুলোতে প্রবেশ করলে সর্বোচ্চ ২০ হাজার সৌদি রিয়াল (প্রায় ৫ হাজার ৩৩১ মার্কিন ডলার) পর্যন্ত জরিমানা করা হবে। এই আইন শুধু হজ যাত্রীদের জন্যই নয়, বরং ভিজিট ভিসাধারীদের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য, যারা নির্ধারিত সময়ের মধ্যে মক্কা এবং পবিত্র স্থানগুলোতে প্রবেশ বা অবস্থান করতে চাইবেন।
এছাড়া, যারা এমন ব্যক্তিদের জন্য ভিজিট ভিসার আবেদন করবেন, যারা হজের অনুমতি ছাড়া হজ পালনের চেষ্টা করেছেন বা মক্কা ও পবিত্র স্থানগুলোতে অবস্থান করেছেন, তাদেরও সর্বোচ্চ ১ লাখ সৌদি রিয়াল পর্যন্ত জরিমানা করা হবে। প্রতিটি ব্যক্তির ক্ষেত্রে জরিমানার পরিমাণ গুণিত হবে।
এই আইন অনুযায়ী, যারা ভিজিট ভিসাধারীদের মক্কা ও পবিত্র স্থানগুলোতে পৌঁছে দেওয়ার জন্য পরিবহন করবেন, তাদের জন্যও জরিমানা প্রযোজ্য হবে। একইভাবে, যারা এই ব্যক্তিদের হোটেল, অ্যাপার্টমেন্ট, বাসা, অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্র বা হজযাত্রীদের আবাসনে আশ্রয় দেবেন বা দিতে যাবেন, তাদেরও এই জরিমানার আওতায় পড়তে হবে।
এছাড়া, যারা এসব ব্যক্তিদের অবস্থান গোপন করবেন বা তাদের থাকার জন্য সহায়তা করবেন, তাদের জন্যও জরিমানা হতে পারে। প্রতিটি আশ্রিত, গোপনকৃত বা সহায়তা পাওয়া ব্যক্তির জন্য জরিমানার পরিমাণ গুণিত হবে।
এমনকি, যারা অবৈধভাবে হজ পালনের চেষ্টা করবেন, তারা সৌদি আরবে বৈধভাবে বসবাসকারী হোন বা ভিসার মেয়াদোত্তীর্ণ হোন, তাদের বিরুদ্ধে পৃথক শাস্তির বিধান রয়েছে। এসব ব্যক্তিদের নিজ নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হবে এবং ১০ বছরের জন্য সৌদি আরবে প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হবে।
এটি সৌদি আরবের হজ ব্যবস্থাপনায় নতুন এক কঠোর পদক্ষেপ, যা অনুমোদন ছাড়া হজ পালনের প্রচেষ্টা ও সহায়তাকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তির আওতা আরও বাড়াবে।