গোপন বৈঠক, উসকানিমূলক মিছিল বা পোস্ট করলেই আইনগত ব্যবস্থা: উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ

গোপন বৈঠক, উসকানিমূলক মিছিল বা সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট করলেও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও এর নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া যাবে বলে জানিয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের আইন উপদেষ্টা পরিষদ।

সোমবার (১২ মে) সকালে আইন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে এ তথ্য জানানো হয়। পোস্টে বলা হয়, “দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করলে রেহাই নেই! গোপন বৈঠক, উসকানিমূলক মিছিল বা পোস্ট করলেও আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া যাবে।”

এ সময় একটি পোস্টারও শেয়ার করা হয়, যেখানে স্পষ্টভাবে লেখা ছিল, “ফেসবুক-ইউটিউবে আওয়ামী লীগের পক্ষে কথা বললেই গ্রেপ্তার।”

পোস্টে আরও বলা হয়, আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা গোপনে কোথাও বৈঠক, সমাবেশ কিংবা মিছিল করলে সংশ্লিষ্ট থানার পুলিশ তাদের তাৎক্ষণিকভাবে গ্রেপ্তার করতে পারবে। এমনকি ফেসবুক বা ইউটিউবে কেউ আওয়ামী লীগের পক্ষে কোনো বক্তব্য দিলেও তার বিরুদ্ধেও আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এছাড়া বিদেশে অবস্থানকারী ব্যক্তি যদি আওয়ামী লীগের পক্ষে সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট বা মন্তব্য করেন, তাদের বিরুদ্ধেও মামলা দায়েরের সুযোগ থাকবে বলে জানানো হয়েছে।

এর আগে, চলমান ছাত্র-জনতা ও রাজনৈতিক দলগুলোর সম্মিলিত আন্দোলনের মুখে গত শনিবার (১০ মে) রাতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে উপদেষ্টা পরিষদের এক জরুরি বৈঠকে আওয়ামী লীগের সকল কার্যক্রম নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

বৈঠক শেষে আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল সংবাদ সম্মেলনে বলেন, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের সংশোধনী অনুমোদনের মাধ্যমে এখন থেকে কোনো রাজনৈতিক দল, তার অঙ্গসংগঠন বা সমর্থক গোষ্ঠীকেও ট্রাইব্যুনাল শাস্তি দিতে পারবে।

তিনি আরও জানান, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে আওয়ামী লীগ ও এর নেতাদের বিচার সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত দেশের নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা, জুলাই আন্দোলনের নেতাকর্মীদের নিরাপত্তা এবং ট্রাইব্যুনালের বাদী ও সাক্ষীদের সুরক্ষার স্বার্থে দলটির যাবতীয় কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

সন্ত্রাসবিরোধী আইনের আওতায় এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর থাকবে এবং এর বিস্তারিত নির্দেশনা পরবর্তী কর্মদিবসে সরকারি পরিপত্র আকারে প্রকাশ করা হবে।
সূত্র:কালবেলা