ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষার্থী শাহরিয়ার সাম্য, সাবেক শিক্ষার্থী আবু বকর সিদ্দিক এবং মানসিক ভারসাম্যহীন তরুণ তোফাজ্জল হোসেন হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিশন গঠনের দাবি জানিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়েছে। নোটিশে নিহতদের প্রত্যেকের পরিবারকে ৫০ কোটি টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র, শিক্ষক ও কর্মকর্তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবি জানানো হয়েছে।
এই নোটিশ পাঠিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের চারজন আইনজীবী— ব্যারিস্টার সোলায়মান তুষার, ব্যারিস্টার মাহদী জামান (বনি), অ্যাডভোকেট বায়েজীদ হোসাইন, অ্যাডভোকেট নাইম সরদার (অয়ন) এবং অ্যাডভোকেট শাহেদ সিদ্দিকী। বুধবার (১৪ মে) ই-মেইলের মাধ্যমে এ নোটিশ পাঠানো হয়।
নোটিশে বিবাদী করা হয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষসহ সংশ্লিষ্ট প্রশাসনিক সংস্থাগুলিকে। এর মধ্যে রয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, দুই প্রো-ভিসি, রেজিস্ট্রার, প্রক্টর, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব, পুলিশের আইজিপি এবং র্যাবের ডিজি।
নোটিশে বলা হয়, সংশ্লিষ্টদের ব্যর্থতার কারণেই ধারাবাহিকভাবে এই তিনটি মৃত্যু ঘটেছে। এসব ঘটনায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ দায় এড়াতে পারে না। শাহরিয়ার সাম্যের ১৩ মে নিহত হওয়ার ঘটনা ছাড়াও ২০১০ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি আবু বকর সিদ্দিক এবং ২০২৪ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর তোফাজ্জল হোসেনের মৃত্যুর বিষয়গুলোও এতে উল্লেখ করা হয়।
নোটিশে বলা হয়েছে, এই তিনটি হত্যাকাণ্ডের প্রকৃত কারণ উদঘাটনে বিচার বিভাগীয় কমিশন গঠন এবং ক্যাম্পাসে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা জরুরি। তিন দিনের মধ্যে পদক্ষেপ না নেওয়া হলে সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে রিট আবেদনসহ আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ব্যারিস্টার সোলায়মান তুষার জানান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে এভাবে একের পর এক হত্যাকাণ্ড অত্যন্ত দুঃখজনক। দায়িত্বপ্রাপ্তরা নিরাপত্তা নিশ্চিতে ব্যর্থ হয়েছেন। যথাযথ ব্যবস্থা না নিলে আদালতের দ্বারস্থ হওয়া ছাড়া উপায় থাকবে না।
৫ আগস্ট যাত্রাবাড়ীতে পুলিশের নির্বিচার গুলিতে কমপক্ষে ৫২ জন নিহত হন বলে বিবিসি আই- এর একটি অনুসন্ধানে উঠে এসেছে
গণহত্যার মামলায় শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের আদেশ ১০ জুলাই
শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গঠনে দ্বিতীয় দিনের শুনানি আজ
আদালত অবমাননার মামলা: শেখ হাসিনার ৬ মাসের কারাদণ্ড